চবিতে ৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ৩ জনের শাস্তি কমে ৬ মাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগে দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত নয় নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ছয় জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তিন জনের বহিষ্কারাদেশের মেয়াদ কমিয়ে ছয় মাস নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের এলিসা স্বর্ণা চৌধুরী, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের উম্মে হাবিবা বৃষ্টি, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ফৌজিয়া আহমেদ পল্লী মজুমদার, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের ফারজানা ইয়াসমিন পুতুল, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ফাতেমাতুজ আশফিয়া নাহার এশা, সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের মাইসারা জাহান ইশা।
ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা তিন শিক্ষার্থী হলেন, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের রওজাতুল জান্নাত নিশা ও জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা এবং মার্কেটিং বিভাগের মোসা. সুমাইয়া সিকদার।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছনার অভিযোগে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমির স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল রয়েছে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ আমরা প্রত্যাহার করেছি। বাকি তিন জনকে ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়েছে। এটি ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। এই ছয় মাসের মধ্যে যদি কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটি বাতিল বলে গণ্য হবে। এবং প্রাথমিকভাবে এই তিন জনের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুমাইয়া শিকদার বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় আমি কোনো ভুল করিনি, শিক্ষকদের সাথেও খারাপ আচরণ করিনি তাহলে আমি দোষ স্বীকার করব কেন? যারা দোষ স্বীকার করেছে তাদের প্রশাসন মাফ করে দিয়েছেন। আর আমরা যারা দোষ স্বীকার করিনি আমাদের ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে। আমরা এখনো চিঠি পাইনি, চিঠি পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব
গত ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ২৪ (পূর্ব নাম শেখ হাসিনা) হলের নৌকা প্রতীক ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি এক সিন্ডিকেট সভায় ১ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং ৯ জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Comments