দাবি আদায়ে রাস্তাতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা

রাজধানীর কাকরাইলের রাস্তায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তোলা। ছবি: এমরান হোসেন/ স্টার

তিন দফা দাবিতে রাতভর কাকরাইল মসজিদের সামনের রাস্তায় কাটিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষকেরাও। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

তাদের তিন দফা দাবি

দাবি আদায়ে কাকরাইলের রাস্তাতেই রাত কাটান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

গুলো হলো—আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেন।  লংমার্চ কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়তে শুরু করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আহত হন বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

পরে সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচিতে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র অধিকার ছাত্র ফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী অবস্থান করছে।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, মার যখন খেয়েছি মার আরও খাব, অধিকার আদায় না করে ক্যাম্পাসে ফিরব না।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাতে রাস্তায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। রাত ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক মঞ্জুর মোর্শেদ ভুইয়া। ভোররাত ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক মোশাররফ বলেন, আমার শিক্ষার্থীরা আছে এজন্য আমি আছি। আমার ছেলেদের রেখে আমি যেতে পারি না। আমাদের দাবি যৌক্তিক।

Comments

The Daily Star  | English

Opening aid corridors, leasing out ports not this govt’s job

Making decisions on a “humanitarian corridor” to Rakhine and leasing out container terminal of Chittagong Port to foreign companies are not the interim government’s job, said BNP acting chairman Tarique Rahman last night.

4h ago