ঢাবিতে ধর্ষণবিরোধী মশাল মিছিল থেকে ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ গঠনসহ ৫ দাবি

ঢাবি শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।ছবি: স্টার

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার রাতে ঢাবির বিভিন্ন হলের কয়েকশ শিক্ষার্থী 'ধর্ষণবিরোধী মঞ্চে'র ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।

ঢাবি শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।ছবি: স্টার

এসময় তারা 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', 'হ্যাং দ্য রেপিস্ট'সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। 

পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর হয়ে, বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে শাহবাগ হয়ে মিছিল নিয়ে রাত ৯টার দিকে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে যান। 

সেখানে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনার বিচারে ৫ দাবি উপস্থাপন করেন।

দাবিগুলো হলো-মাগুরায় শিশু ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা এবং ১ মাসের মধ্যে বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিটি ধর্ষণ মামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত মামলার বিচারকাজ শেষ করতে হবে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। 

নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে 'নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল' গঠন ও সেলের কার্যকরিতা নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার বুলিং সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা এসব দাবি উপস্থাপন করেন।

সমাবেশে তারা বলেন, 'প্রতিটি বিচারের তদন্তকার্যে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় দেশের সব বিচারককে তৎপর ভূমিকা পালন করতে হবে।' 

তারা আরও বলেন, 'বাংলাদেশের আপামর জনগণের উদ্দেশে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, ধর্ষণ ও নিপীড়ন বন্ধে আপনারা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আপনারা অপরাধীদের আইনের হাতে সোপর্দ করুন এবং তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন।'

সমাবেশ শেষে রাত প্রায় সোয়া দশটার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য ত্যাগ করতে থাকেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

16h ago