চট্টগ্রাম মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ ৭৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালে শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৭৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, আরও ১১ শিক্ষার্থীকে মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের গতকাল রোববারের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ৭ জনকে ২ বছর, ১৫ জনকে দেড় বছর, ৩৯ জনকে এক বছর এবং ১৪ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, 'দেড় মাস আগে অধ্যাপক ডা. হাসানুজ্জামানকে প্রধান করে ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশে ১৪ ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ কলেজের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৭৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ শাস্তি দেওয়া হয়।'
বহিষ্কারাদেশের চিঠিতে বলা হয়, 'অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের যথেচ্ছাচারী আচরণের কারণে কলেজের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসগুলোতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ইতোপূর্বে কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকায় সংঘটিত সংঘাতের কারণে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীসহ বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও ছাত্র রাজনীতির নাম ভাঙিয়ে একক কর্তৃত্ব, গোষ্ঠীগত আধিপত্য এবং ব্যক্তিগত হিরোইজম প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন নিন্দনীয় ঘটনা ঘটায়।'
'এ অবস্থায় এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্রাবাসে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে রুম দখল, অঙ্গীকার ভঙ্গসহ কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট, মারধর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিধি মোতাবেক বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো। ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পরিচালক মহোদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন,' বলা হয় আদেশে।
Comments