আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আগারগাঁওয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকন্ড গেট সংলগ্ন সড়কে বেঞ্চ ফেলে প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল ও শব্দদূষণ বন্ধের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

বেঞ্চ-চেয়ার ফেলে প্রায় ১ ঘণ্টা সড়ক আটকে রাখার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হারুন-অর-রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, অবরোধের ফলে ওই এলাকার আশেপাশে যানজট তৈরি হয়। আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশন, রোকেয়া সরণিতে আটকে আছে গাড়ি।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেইট সংলগ্ন রাস্তায় অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন চলাচলের ফলে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে এবং তীব্র মাত্রার শব্দদূষণ হচ্ছে। এতে রাস্তা সংলগ্ন সিরাজ-উদ-দৌলা হলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত হচ্ছে। 

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজ-উদ-দৌলা হল সংলগ্ন সড়কে প্রতিদিন এভাবেই যানবাহন চলাচল করে। এর ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র শব্দদূষণ। ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া বেপরোয়া যান চলাচল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকির অভাবে ওই সড়কে প্রায়ই চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। 

তাদের দাবি-সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। ওই রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণ স্পিড ব্রেকার স্থাপন করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে-নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে থেকে পাসপোর্ট অফিস পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বহিরাগত যান চলাচল ও বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং দ্বিতীয় গেটে পর্যাপ্ত আনসার সদস্য মোতায়েন।

এর আগে এসব দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালে ওই সড়কে চেকপোস্ট স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান মেহেদী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ আমরা বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করেছি। শব্দের কারণে আমাদের হলের শিক্ষার্থীরা রুমে পড়াশোনা করতে পারে না।'

প্রক্টর হারুন-অর-রশিদ বলেন, 'আমরা আগেও সরকারি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। এতদিন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা বলেছি যে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমরা শিগগিরই এটা নিয়ে বসব। আমাদের আহ্বানে শিক্ষার্থীরা ১ ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়ে দিয়েছে।'

সেখানে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মবিন আহমেদ। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।' 

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

6h ago