ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো

আগামীকাল থেকে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন, তারা ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে আবেদনকারীকে বায়োমেট্রিকস দিতে ও পরীক্ষার জন্য একবার বিআরটিএতে আসতে হবে বলেও তিনি জানান।

আজ মঙ্গলবার সকালে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের জানান, বিশ্ব ব্যাংক প্রস্তাবিত রোড সেফটি প্রোগ্রামের আওতাধীন প্রথম পর্যায়ের একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর প্রাক্কলিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে যা দ্রুতই একনেক সভার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।

সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং এর কারণে হওয়া ক্ষতির মাত্রা কমানো, সড়ক নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সরকারি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে এই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। সওজ অধিদপ্তর, বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশ এবং স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর এর স্টেক হোল্ডার। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল ডিসেম্বর ২০২২ থেকে নভেম্বর ২০২৭।

ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

7h ago