চাকরিতে নিয়োগ-ছাঁটাইয়েও বাড়ছে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার’ ব্যবহার

এতদিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করেছে। তবে এখন অন্যান্য খাতের কোম্পানিতেও এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে৷
চাকরিতে নিয়োগ-ছাঁটাইয়েও বাড়ছে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার’ ব্যবহার
ছবি: রয়টার্স

এতদিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করেছে। তবে এখন অন্যান্য খাতের কোম্পানিতেও এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে৷

লন্ডনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি ২০২২ সালে এক হাজার কোম্পানির ওপর জরিপ পরিচালনা করেছিল৷ এসব কোম্পানির মধ্যে কেউ ৬ জনের মধ্যে একজন, আর কেউ ৪ জনের মধ্যে একজন কর্মীর নিয়োগে এআই ব্যবহার করেছে৷ এ ছাড়া প্রায় ৪০ শতাংশ নিয়োগ এআই ব্যবহার করে করা হয়েছে এমন কোম্পানিও আছে বলে জানিয়েছে পিডাব্লিউসি।

শুধু নিয়োগ নয়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর একজন কর্মী কেমন কাজ করছে, তারও খবর রাখছে এআই।

অ্যামাজন, ইউনিলিভারের মতো কোম্পানির জন্য কর্মী নিয়োগের কাজ করা মার্কিন কোম্পানি 'হায়ারভিউ' বলছে, ভিডিও সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তারা দ্রুত কর্মী নিয়োগ করতে পারে৷ এ ছাড়া এআই প্রযুক্তির কারণে নির্দিষ্ট বর্ণ ও লিঙ্গের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ এড়ানো সম্ভব৷

তবে গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, এআই প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোবট নারী ও অশ্বেতাঙ্গদের প্রতি বর্ণবাদমূলক আচরণ করে।

এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের 'ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন' কর্মক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের নীতিমালা প্রকাশ করেছে৷

একই বিষয়ে দুটি আইন করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ তারা বলছে, নাগরিক ও কোম্পানিগুলো এআই ব্যবহার করে লাভবান হতে পারে৷ তবে মৌলিক অধিকার ঝুঁকির মুখে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করে ইইউ৷

এআই প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় রোবটকে কী ধরনের তথ্য দেওয়া হচ্ছে তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করে৷ ইইউ যে আইন করছে সেখানে এই বিষয়ে নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে৷ এ ছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় মানুষের সংশ্লিষ্টতা কতখানি থাকবে তাও আইনে নির্ধারণ করা থাকবে৷

কোনো কর্মী যদি মনে করেন তার বস এআই প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তার প্রতি অন্যায় করছে, সেক্ষেত্রে কর্মী কী করতে পারবেন, তা-ও আইনের আওতায় থাকবে।
 

Comments