ফ্রান্সের পর আরও ৩ দেশে নিষিদ্ধ হতে পারে আইফোন ১২
বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণের (ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন) মাত্রা বেশি থাকার অপরাধে ফ্রান্সে অ্যাপলের আইফোন ১২ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএনএফআর। এ ঘটনার পর একই পথে হাঁটছে জার্মানি, বেলজিয়াম ও স্পেন।
তবে শিগগির ইউরোপীয় ইউনিয়ন জুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। সংস্থাটি বলেছে, তারা ইইউ'র অন্যান্য দেশের মতামত শুনে তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বুধবার ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশগুলোকে এ বিষয়টি জানায়। এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য দেশগুলোর হাতে ৩ মাস সময় রয়েছে।
বেলজিয়ামের ডিজিটালাইজেশন সচিব ম্যাথু মিশেল জানান, দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেলজিয়ান ইন্সটিটিউট অব পোস্টাল সার্ভিসেস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন (বিআইপিটি) অ্যাপলের সব ডিভাইস নিরীক্ষা করে ক্ষতিকারক বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
জার্মানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে জানায়, তারা আইফোন ১২ এর বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণের মাত্রা পরীক্ষা করছেন।
স্পেনের একটি ভোক্তা অধিকার সংস্থা, অর্গানাইজেশন অব কনজিউমারস অ্যান্ড ইউজারস (ওসিইউ) কর্তৃপক্ষকে ফ্রান্সের মতো উদ্যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বলে জানিয়েছে ফর্বস।
এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে স্পেনের ওসিইউ ও বেলজিয়ামের বিআইপিটির সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছে ফর্বস। তবে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অ্যাপল ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ২০২০ সালে বাজারে আসা আইফোন তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা নিয়ে ১২ অসংখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থার ছাড় পেয়েছে –দাবি করছে অ্যাপল।
গবেষকরা গত ২ দশক ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাবের মাত্রা খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এখনো এ ধরনের কোনো প্রভাবের বিষয়টি চিহ্নিত করা যায়নি।
নেদারল্যান্ডের ডিজিটাল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে বলে জানিয়েছে। তারা এ বিষয়ে অ্যাপলের সঙ্গে যোগাযোগ করবে বলে জানিয়েছে। তবে এতে ভোক্তাদের কোনো 'গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি' নেই বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইতালির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা বিষয়টি নজরে রাখলেও আপাতত কোনো ব্যবস্থা নেবে না।
পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্য একই কথা বলেছে।
গত বছর ইউরোপে ৯৫ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে অ্যাপল। এটি এই প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। কিছু প্রাক্কলনে জানা যায়, গত বছর এই মহাদেশে ৫ কোটিরও বেশি আইফোন বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার অ্যাপল তাদের সর্বশেষ মডেল আইফোন ১৫ বাজারে এনেছে। এ মুহূর্তে তাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রান্সে আইফোন ১২ কেনা যায় না। তবে অন্যান্য বিক্রেতাদের কাছে এখনো এ মডেলটি পাওয়া যায়, যার মধ্যে আছে অ্যামাজন ফ্রান্স।
Comments