ইউটিউবে প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে আয় কত

ইউটিউব লোগো। ছবি: সংগৃহীত

ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে ভিডিও নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ আয় করেন।

একজন ইউটিউবার তার একটি ভিডিওর মাধ্যমে কত টাকা আয় করবেন, সেটি নির্ভর করে তার ভিডিওটি কেমন, সেটি কোন কোন দেশ থেকে দেখা হয়েছে, সেসব দেশে ইউটিউবের বিজ্ঞাপণের রেট কেমন ইত্যাদির ওপর। তবে ভিডিওটি কত দর্শক দেখেছেন সেটিই মূলত একটি ভিডিওকে বিচারের অন্যতম মানদণ্ড। 

যখন ইউটিউবে একটি ভিডিওর ভিউ ১০ লাখ অতিক্রম করে, তখন নির্মাতা সেটি থেকে ভালো আয় করেছেন এমনটা ধরে নেওয়া যায়। কখনো কখনো তো একটি ভিডিও থেকে ১০ হাজার ডলারেরও বেশি আয় করা সম্ভব, সেটি যদি যথেষ্ঠ দর্শক টানতে পারে। 

প্রযুক্তি বিষয়ক ভিডিও নির্মাতা শেলবি চার্চ ৩ বছর আগে বিজনেস ইনসাইডারকে জানিয়েছিলেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের ওপর বানানো তার একটি ভিডিও থেকে তখনই ৩০ হাজার ডলারেরও বেশি আয় হয়েছে। তখন তার ভিডিওটির ভিউ ছিল ১৮ লাখ।

তিনি বলছিলেন, নির্দিষ্ট দর্শককে লক্ষ্য করে ভিডিও বানানোয় তার আরপিএম রেট (প্রতি হাজারে আয়) অনেক বেশি। ব্যবসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক ভিডিও থেকে আয় তুলনামূলক বেশি। 

তিনি বলেন, 'ইউটিবাররা সবসময় অনেক অর্থ আয় করেন না। আয়ের বিষয়টি নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিডিও বানাচ্ছেন তার ওপর।'

ভিডিও নির্মাতারা যদি ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রাম বা ওয়াইপিপির তালিকাভুক্ত হন, তাহলে নির্দিষ্ট ভিডিওর মোট বিজ্ঞাপনী আয়ের ৫৫ শতাংশ অর্থ তাদের পকেটে যায়। 

ন্যূনতম ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চ্যানেলের মোট ওয়াচ টাইম ৪ হাজার ঘণ্টা হলে ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য বিবেচিত হওয়া যায়। এখন ইউটিউব শটস থেকেও নির্মাতারা অর্থ আয় করতে পারেন। 

প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ের জন্য ইউটিউব কত অর্থ দেয়, সে বিষয়ে ধারণা পেতে বিজনেস ইনসাইডার ২০২০ সালে ৩ জন ইউটিউবারের সঙ্গে কথা বলে।

সেমিডকোকো— ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা (১১ লাখ ভিউ)

চ্যানেলটি পরিচালনা করেন সেমিড, নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি নিজের আসল নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ছিল দেড় লাখ এবং তখন তার চ্যানেলের দুটি ভিডিওর ভিউ ১০ লাখ ছাড়িয়েছিল।

তিনি বলেন, সাধারণত এই ভিডিওগুলো থেকে ২৫০০ থেকে ৪০০০ মার্কিন ডলার (আড়াই থেকে ৪ লাখ টাকা) আয় করা যায়। ১১ লাখ ভিউ হওয়া একটি ভিডিও থেকে তিনি আয় করেছেন ৩৪৭০ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। 

জেড ডার্মাওয়াংসা — ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা (১২ লাখ ভিউ)

 ২০২০ সালের মে মাসে জেড যখন বিসনেস ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেন, তখন তার চ্যানেলের সাবস্কাইবার ছিল ৩ লাখ ৮১ হাজার। তার চ্যানেলে 'হাউ টু গ্রো অন ইনস্টাগ্রাম' শিরোনামের একটি ভিডিও ১২ লাখ দর্শক দেখেছেন এবং সেটি থেকে তিনি আয় করেছেন ৩৬০০ মার্কিন ডলার বা ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। 

শেলবি চার্চ — ২ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা (১০ লাখ ভিউ)

 ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শেলবি চার্চ বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, ১০ লাখ ভিউ পাওয়া তার ভিডিওগুলো ২ হাজার থেকে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছেন। আয় নির্ভর করে ভিডিওর বিষয়বস্তুর ওপর। অ্যামাজনের ওপর নির্মিত তার একটি ভিডিওর আয় ছিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি। এই ভিডিওর ১৮ লাখ ভিউয়ের বিনিময়ে তিনি ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩০ লাখ টাকা আয় করেছেন। শেলবির চ্যানেলে অনেকগুলো ভিডিওর ভিউ ১০ লাখের বেশি। তবে সাধারণত ১০ লাখের বেশি ভিউ পাওয়া ভিডিওগুলো থেকে তার আয় ২ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ লাখ টাকা।   

Comments

The Daily Star  | English

US at war with Iran's nuclear programme, not Iran: JD Vance

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

12h ago