ওয়াশিংটনে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনে।
পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হলে বাংলাদেশ কম শুল্কের সুবিধা পাবে।
বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, ‘(কানাডা) যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল ও অন্যান্য অবৈধ মাদকের অবাধ পাচার ঠেকানোর ক্ষেত্রে (যুক্তরাষ্ট্রকে) সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যাশিত হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণের মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও অগ্রগতিতে অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং অবিচল...
মেক্সিকোর পর কানাডাই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। মার্কিন পণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতাও কানাডা।
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ‘আজ আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়াতে সক্ষম হয়েছি। এটা আমাদের পোশাক খাত ও এর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য একটি সুসংবাদ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দরকষাকষি শেষে ওয়াশিংটনের ঘোষণায় জানা গেছে, পাকিস্তানের পণ্য আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ ২৯ শতাংশ থেকে কমে ১৯ শতাংশ হয়েছে।
১ আগস্ট থেকে ভারতকে জরিমানাও দিতে হবে বলে জানান তিনি।
অর্থনীতিবিদরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, উচ্চ মাত্রার শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি পণ্যের আমদানিকারকদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার খরচ বেড়ে যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দরকষাকষি শেষে ওয়াশিংটনের ঘোষণায় জানা গেছে, পাকিস্তানের পণ্য আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ ২৯ শতাংশ থেকে কমে ১৯ শতাংশ হয়েছে।
১ আগস্ট থেকে ভারতকে জরিমানাও দিতে হবে বলে জানান তিনি।
অর্থনীতিবিদরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, উচ্চ মাত্রার শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি পণ্যের আমদানিকারকদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার খরচ বেড়ে যাবে।
শুরুতে দেশটির খুচরা বিক্রেতা ও ভোগ্য পণ্য উৎপাদনকারীরা সতর্ক করেছিল, আমদানি পণ্যের ওপর বাড়তি এই শুল্ক তাদের ওপর চাপ তৈরি করবে। এর ফলে, মুনাফা কমানো অথবা ভোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি খরচ আদায় করার...
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান ফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এখন পর্যন্ত আলোচনা আন্তরিক পরিবেশে হওয়ায় আমরা শুল্ক অনেকটাই কমার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনায় আমি ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি।’
নতুন হারে শুল্ক চালু হবার পরও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ইউএসটিআর শেষ পর্যন্ত ২৯ জুলাই আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশি কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে তৃতীয় দফার আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেন আগামী ১ আগস্ট নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই একটি পারস্পরিক চুক্তি করা যায়।
রাশিয়ার রপ্তানি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ‘প্রায় ১০০ শতাংশ’ হতে পারে এবং এরপর ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ বা শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকিও দেন ট্রাম্প। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যেসব দেশ রাশিয়ার সঙ্গে...
ট্রাম্প এর আগে ১ আগস্ট থেকে ইন্দোনেশিয়ার পণ্যে ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।