যে কোনো দলই জিততে পারতো: রোহিত

বৃষ্টির পর বাংলাদেশের জয়ের সমীকরণ যায় পাল্টে। পরের নয় ওভারে করতে হতো ৮৫ রান। হাতে ১০ উইকেট থাকায় ম্যাচ জয়ের বড় সুযোগ ছিল টাইগারদের। কিন্তু স্নায়ুচাপ সামলে নিতে পারেননি টাইগার ব্যাটাররা। উল্টো নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতকে জয় এনে দেন তাদের বোলাররা। এমন জয়ে স্বস্তি মিললেও ম্যাচটা যে কেউই জিততে পারতো বলে মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলেও লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুতে ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। বৃষ্টির পর নতুন লক্ষ্যে নামার সময়ে নিজেকে শান্ত থাকার চেষ্টা করলেও নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন রোহিত। যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ী অধিনায়ক তিনিই, '(বৃষ্টির পর) উভয় দলের জন্যই সুযোগ ছিল। আমি একই সঙ্গে শান্ত এবং নার্ভাস ছিলাম। তবে দল হিসাবে আমাদের জন্য শান্ত থাকা এবং পরিকল্পনাগুলো কার্যকর করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'

'এটি সংক্ষিপ্ত একটি ম্যাচ ছিল এবং এটা যে কোনও দিকেই যেতে পারতো। ১০ উইকেট হাতে থাকলে এটি যে কোনো দিকে যেতে পারে তবে বিরতির পরে ম্যাচ শুরু হলে আমরা আমাদের স্নায়ুকে বেশ ভালোভাবে ধরে রাখতে পেরেছিলাম,' যোগ করে আরও বলেন রোহিত।

এদিন অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। এরপর নামে বৃষ্টি। এরপর বৃষ্টি থামলে ফের মাঠে নামার পর শুরুতেই দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন লিটন দাস। ম্যাচের মোমেন্টাম তখনই বদলে যায়। এরপরও সুযোগ ছিল টাইগারদের। কিন্তু তড়িঘড়ি করতে গিয়ে উইকেট হারাতে থাকেন টাইগাররা। ফলে শেষ দিকে বেশ কঠিন হয়ে যায় ম্যাচটি।

দ্রুত দুই ওপেনার হারানোর পর ইনিংস মেরামত করতে পারেননি কোনো ব্যাটার। মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেনদের কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। সেট হলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। এক অর্থে হার তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। এরপর শেষ দিকে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান নুরুল হাসান সোহান। শেষ পর্যন্ত ৫ রান দূরেই থামতে হয় টাইগারদের।

Comments

The Daily Star  | English

Complete reforms in 2yrs after polls

Parties urged in draft July Charter; opinions sought

5h ago