বিশ্বকাপে যেসব রেকর্ড-মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের পর্দা উঠতে আর বাকি নেই ৪৮ ঘণ্টাও। আগের সবগুলো আসরেই খেলা বাংলাদেশ টানা নবমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতায়। বিশ্বমঞ্চে দলের কয়েকজন ক্রিকেটারকে হাতছানি দিচ্ছে বেশ কিছু ব্যক্তিগত রেকর্ড ও মাইলফলক।
আগামী রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে যৌথভাবে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে 'ডি' গ্রুপে। তাদেরকে গ্রুপ পর্বে মোকাবিলা করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে। অর্থাৎ ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের এবারের বিশ্ব আসরে অন্তত চারটি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। আর ফাইনাল পর্যন্ত রয়েছে সর্বোচ্চ নয়টি ম্যাচ খেলার মওকা।
যেসব রেকর্ড-মাইলফলক গড়ার সুযোগ রয়েছে সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তদের সামনে, তা উপস্থাপন করা হলো দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য—
সাকিব আল হাসান
অভিজ্ঞ তারকা অলরাউন্ডার সাকিব সুবাস পাচ্ছেন একাধিক কীর্তির। মাঠে নামলেই রেকর্ড বইতে উঠে যাবে তার নাম। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নয়টি আসরের সবগুলোতেই খেলার নজির স্থাপন করবেন তিনি। একই রেকর্ড গড়ার পথে আছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনিও আগের আটটি বিশ্বকাপের সবকটিতে অংশ নিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব। ১৮.৬৩ গড় ও ৬.৭৮ ইকোনমিতে ৩৬ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৪৭ উইকেট। অর্থাৎ আর মাত্র তিনটি শিকার ধরতে পারলেই ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে উইকেটের 'হাফসেঞ্চুরি' স্পর্শের রেকর্ড গড়বেন তিনি।
বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দেড়শ উইকেট প্রাপ্তির খুব কাছে আছেন সাকিব। আর চাই মাত্র ৪ উইকেট। তার নামের পাশে রয়েছে ১২২ ম্যাচে ১৪৬ উইকেট। এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত কেবল একজনই ১৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি ১২৩ ম্যাচে শিকার করেছেন ১৫৭ উইকেট।
লিটন দাস
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই হাজারি ক্লাব থেকে ওপেনার লিটন দাস আছেন ১৯৬ রান দূরে। তিনি মাঠে নেমেছেন ৮২ ম্যাচে। ২৩.১২ গড় ও ১২৮.১২ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ১৮০৪ রান। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা ব্যাটারের সংখ্যা এ পর্যন্ত দুই। তারা হলেন সাকিব (২৪৪০ রান) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২২৯৯ রান)।
নাজমুল হোসেন শান্ত
অধিনায়ক শান্ত ৩৯ টি-টোয়েন্টিতে ২৪.৮৭ গড় ও ১০৯.৬৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৭৯৬ রান। অর্থাৎ ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে তার চাই আর ২০৪ রান। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাতজন খেলোয়াড় পৌঁছেছেন এক হাজারি ক্লাবে। তারা হলেন সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, লিটন, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেন।
শরিফুল ইসলাম
সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের পর বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার পথে আছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তার দরকার মাত্র ৪ উইকেট। তিনি ৪১ ম্যাচে ২৪.২৩ গড় ও ৮.১৪ ইকোনমিতে পেয়েছেন ৪৬ উইকেট।
মোস্তাফিজুর রহমান
পেসার মোস্তাফিজ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৯৬ ম্যাচে। অর্থাৎ আর চারটিতে একাদশে থাকলেই ম্যাচ খেলার 'সেঞ্চুরি' পূর্ণ হয়ে যাবে তার। এখন পর্যন্ত তিনজন বাংলাদেশের জার্সিতে শততম টি-টোয়েন্টি খেলার স্বাদ নিয়েছেন। তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ (১৩১ ম্যাচ), সাকিব (১২২ ম্যাচ) ও মুশফিক (১০২ ম্যাচ)।
Comments