আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

খারাপ সময় যাচ্ছে এটা অনুভব করেন না হৃদয়

বিশ্বকাপে তাই তাকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে ছিলো অনেক প্রত্যাশা। তবে প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই তার ব্যাটে। এমনকি সবগুলো ম্যাচে তাকে একাদশে খেলানোর অবস্থাও থাকেনি পরে।

পুনে থেকে

খারাপ সময় যাচ্ছে এটা অনুভব করেন না হৃদয়

খারাপ সময় যাচ্ছে এটা অনুভব করেন না হৃদয়
ছবি: স্টার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেমেই দারুণ শুরু পেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে নিয়ে এসেছিলেন সতেজ বাতাস। বিশ্বকাপে তাই তাকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে ছিলো অনেক প্রত্যাশা। তবে প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই তার ব্যাটে। এমনকি সবগুলো ম্যাচে তাকে একাদশে খেলানোর অবস্থাও থাকেনি পরে।

ক্যারিয়ারের প্রথম ১৪ ম্যাচে ৪১.৩৩ গড়ে করেন ৪৯৬ রান। কিন্তু এরপরের ৯ ম্যাচে তার অবস্থা বড়ই করুণ। স্রেফ ১৮.৬৬ গড়ে হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৫৫ রান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে তাকে বিবেচনা করা হলেও সেটাও দিতে পারছেন না তিনি, এই সময়ে স্ট্রাইকরেটও কেবল ৭২.২৫।

বিশ্বকাপ মঞ্চে হৃদয়ের ইনিংসগুলো ছিল জড়সড়ো। তার অ্যাপ্রোচ জন্ম দেবে প্রশ্নের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬৫ রান তাড়ার ম্যাচে সাতে নেমে হৃদয় ৬১ বল খুইয়ে করেন ৩৯ রান।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইতে ২৫ বল খেলে ১৩ রান করা হৃদয় নষ্ট করে দেন দলের ছুটে চলার ছন্দ। পুনেতে ভারতের বিপক্ষেও এই ডানহাতি ব্যাটার খেলেছেন অসম্ভব মন্থর ইনিংস। ৩৫ বলে করেন স্রেফ ১৬ রান। মুম্বাইতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একাদশের বাইরে রাখা হয় তাকে।

কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও জায়গা পাননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে ফিরে করেন ৯ বলে ৭ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে দলের সফল রান তাড়ায় কিছুটা তার ব্যাটে মেটে চাহিদা। ৭ বলে ১৫ করে থাকেন অপরাজিত। বিশ্বকাপ মঞ্চে ৬ ম্যাচ খেলে ২২.৫০ গড় আর ৬৮.৭০ স্ট্রাইকরেটে হৃদয়ের রান মোটে ৯০।

এমন নাজুক অবস্থাকেও খারাপ সময় বলতে চান না এই তরুণ। তারমতে দলের সমন্বয়ের কারণে নিজেকে প্রস্তুত রেখে তিনি আছেন ভালো অবস্থায়, 'খারাপ সময় যাচ্ছে এটা আমি নিজে অনুভব করি না। দলের সমন্বয়ের কারণে উপরে-নিচে ব্যাট করছি। সবারই আশা আছে, আমারও থাকবে। আমিও চেষ্টা করি দলকে দেওয়ার জন্য। আমি আগেও বলেছি সাতে ব্যাট করছি এটা আমার কাছে ম্যাটার করে না। আমি এশিয়া কাপেও বলেছিলাম দলের প্রয়োজনে যদি নিচে খেলতে হয় নিচে খেলব। সুযোগগুলো আসলে কাজে লাগাব।'

শুধু হৃদয় না, পুরো ব্যাটিং বিভাগ বিশ্বকাপে ব্যর্থ বাংলাদেশের। অধারাবাহিকতায় প্রভাব ফেলার মতন পরিস্থিতিও তাই আসেনি। পেছনে যা কিছু হয়ে গেছে তা নিয়ে পড়ে না থেকে সামনে তাকাচ্ছেন তারা,  'যেটা চলে গিয়েছে সেটা নিয়ে বলতে চাই না। আমরা ভালো করিনি দেখে আমাদের দলের ফল হয়নি। বড় রান করতে গেলে বা তাড়া করতে উপর থেকে যদি একশো বা ৮০ রান দরকার। এই জিনিসটা সামনে করতে পারলে ভালো হবে।'

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জেতার পর টানা ছয় হার। অবশেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতে বাংলাদেশ পেয়েছে সান্ত্বনা। হৃদয়ের মতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগে তারা একটু ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারবেন,  'অবশ্যই ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাব। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সফল হওয়ার চেষ্টা করব।'

'চ্যালেঞ্জ শুধু অস্ট্রেলিয়া বা তাদের পেসার না। প্রতিটা দলই ভালো আলাদা কিছু না। আগেও বলেছি প্রক্রিয়ার ভেতরে যতটা পারি ততটা ভালো করার চেষ্টা করব।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago