আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

‘প্রমাণ আছে’ ম্যাথিউসের কাছে, বিবৃতি দেবে শ্রীলঙ্কা

আম্পায়ার বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুবার জিজ্ঞেস করেন তিনি এই আবেদন বহাল রাখবেন কিনা। সাকিব অনড় থাকায় আঙুল তুলেন আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস।

দিল্লি থেকে

‘প্রমাণ আছে’ ম্যাথিউসের কাছে, বিবৃতি দেবে শ্রীলঙ্কা

‘প্রমাণ আছে’ ম্যাথিউসের কাছে, বিবৃতি দেবে শ্রীলঙ্কা

নিয়মের মধ্যে থাকলে আউট কেন করা যাবে না? এই যুক্তি মানছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও। তবে তার দাবি তাকে আউট করতে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে। সেই প্রমাণও তাদের কাছে আছে। এই ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও দেবে শ্রীলঙ্কা দল।

সোমবার দিল্লিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ৩টা ৪৯ মিনিটে আউট হয়ে ফেরেন সাদেরা সামারাবিক্রমা। এর ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ড পর ক্রিজে গিয়ে গার্ড নেন ম্যাথিউস।

গার্ড নেওয়ার তিন সেকেন্ড পরই তার হেলমেটে সমস্যা দেখা দেয়। বল না খেলে হেলমেট বদলের ইশারা দিতে থাকেন ড্রেসিংরুমের দিকে। এতে কিছুটা সময় ব্যয় হয়। তখনই তাকে টাইমড আউটের আবেদন করে বাংলাদেশ দল

আম্পায়ার বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুবার জিজ্ঞেস করেন তিনি এই আবেদন বহাল রাখবেন কিনা। সাকিব অনড় থাকায় আঙুল তুলেন আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস। ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে হেলমেট ছুঁড়ে মারেন অভিজ্ঞ ম্যাথিউস। 

পরে ৩ উইকেটে ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে এসেও তিনি রাগে ফুঁসছিলেন। ম্যাথিউসের মতে তিনি সময়মতই ক্রিজে গিয়ে গার্ড নিয়েছিলেন, পরে যেটা হয়েছে সেটা তার হেলমেটের গোলমাল, যা বিবেচনায় না নেওয়া আম্পায়ার ও বাংলাদেশ দলকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি, 'বাংলাদেশ দলের প্রতি এতদিন পর্যন্ত আমার সম্মান ছিলো। অবশ্যই আপনি জেতার জন্য খেলবেন। যদি নিয়মের মধ্যে হয় তাহলে ভালো কিন্তু নিয়মই পরিষ্কারভাবে বলছে, আজকের ঘটনায় আমি দুই মিনিটের মধ্যে মাঠে ছিলাম। আমাদের কাছে ভিডিও প্রমাণ আছে। আমরা পরে বিবৃতি দেবো। আমাদের কাছে ভিডিও প্রমাণ, ফুটেজ আছে। সব কিছুই দেখা হয়েছে। আমি এখানে প্রমাণ নিয়ে কথা বলতে এসেছি।'

আউট দিয়েছেন আম্পায়ার। তাহলে আম্পায়ারই কি ভুল? ম্যাতিউস এক্ষেত্রেও রাখঢাক রাখেননি, 'আমার মতে হ্যাঁ। কারণ আমি ভুল কিছুই করিনি। কার ভুল এটা। বিশ্বকাপের ম্যাচ বলেই আলোচনা দরকার। যদি শেষ ওভারে এমন অবস্থা হতো যেখানে কারো ৩/৪ রান লাগবে আর এক উইকেট আছে। তখন কি করতেন? এটা পুরোপুরি কাণ্ডজ্ঞানের বিষয়।'

ম্যাথিউস বারবার করে বলছিলেন কান্ডজ্ঞানের কথা। যা প্রতিপক্ষ ও আম্পায়ার কাজে না লাগানোয় স্তব্ধ তিনি, 'আমি সময় ক্ষেপণ করছিলাম না। আমি কোন সুবিধা নিচ্ছিলাম না। এটা পুরোপুরি ইকুইপমেন্ট ম্যালফাংশন ছিলো। আমার পুরো ক্যারিয়ারে এইরকম সমস্যা প্রথম হলো (হেলমেটের)। আমি পুরোপুরি স্তব্ধ।'

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

9h ago