আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

রানে ফেরার চেষ্টায় সাকিবের দুই ঘণ্টার কঠোর অনুশীলন

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের খারাপ খেলার পেছনে সাকিবের ফর্মহীনতাও বড় কারণ। অধিনায়ক নিজেও বুঝতে পারছেন এই সংকট। এমনিতে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে এত ব্যস্ত দেখা যায় না সাকিবকে। সাধারণত কিছুটা আয়েশ করেই প্রস্তুত করেন নিজেকে।

কলকাতা থেকে

রানে ফেরার চেষ্টায় সাকিবের দুই ঘণ্টার কঠোর অনুশীলন

Shakib Al Hasan
সাকিব আল হাসান আছেন প্রবল চাপে। ছবি: একুশ তাপাদার

সংবাদ সম্মেলন শেষে মাঠে ঢুকেই প্রবেশ করলেন নেটে। টানা চলতে থাকল ব্যাটিং। মাঝে একবার সামান্য ব্যথা পেয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পর ফের উঠে দাঁড়িয়ে ব্যাট চালাতে থাকলেন লম্বা সময়। একদম শেষে সেন্টার উইকেটে গিয়েও নিজের দক্ষতায় শাণ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

এবারের বিশ্বকাপের মতন আর কখনই এমন রান খরায় ছিলেন না সাকিব। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪ রান করার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হন ১ রান করে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০ রান করলেও ছিলেন না সাবলীল। ভারতের বিপক্ষে চোটের কারণে নামতে পারেননি। চোট কাটিয়ে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও করেন হতাশ। করেন ১ ও ৫ রান। পাঁচ ম্যাচে ১২.২ গড়ে করেন স্রেফ ৬১ রান। অথচ গত বিশ্বকাপে দুই সেঞ্চুরিতে ছয়শোর বেশি রান করেছিলেন তিনি।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের খারাপ খেলার পেছনে সাকিবের ফর্মহীনতাও বড় কারণ। অধিনায়ক নিজেও বুঝতে পারছেন এই সংকট। এমনিতে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে এত ব্যস্ত দেখা যায় না সাকিবকে। সাধারণত কিছুটা আয়েশ করেই প্রস্তুত করেন নিজেকে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সোমবার ইডেনে সাকিবকে পাওয়া গেল ভিন্ন মেজাজে। থ্রো ডাউন ও নেট বোলারদের নিয়ে টানা ব্যাট করার এক পর্যায়ে পীঠের দিকে পেলেন ব্যথা। স্প্রে করে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে ফের উঠে দাঁড়িয়ে চালাতে থাকলেন ব্যাট। অনেকবারই টাইমিং গড়বড় হতে দেখা গেল তার। হাল না ছেড়ে নিজেকে জাগালন, শরীর নুয়ে পড়লেও ফের শক্তি সঞ্চয় করে চালিয়ে যেতে থাকলেন।

এদিন অনুশীলনে হালকা ব্যাট করেই ইতি টানেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমরা। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজদের দেখা যায়নি।

শেষ দিকে বোলাররা যখন নেটে ব্যাট করছিলেন, সাকিব তখনো অবিচল। সবার শেষে সেন্টার উইকেটে গিয়ে বড় শটের অনুশীলন চালিয়ে অবশেষে  ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বড় হারের পর দেশের ক্রিকেটের ভিত নড়ে যাওয়ায় সাকিব টের পাচ্ছেন চাপ। আগামী তিন ম্যাচের অন্তত দুটি না জিতলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার স্বপ্নও মিইয়ে যাবে। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই ক্যারিয়ার ইতি টানতে চেয়েছিলেন। সেই পরিকল্পনাও গড়বড় হয়ে যাবে তাতে। বিশ্বকাপে অন্তত একটা ছাপ রেখতে সাকিবের প্রাণপণ চেষ্টা বেশ দৃশ্যমান ছিল ইডেন গার্ডেন্সে।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago