আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে যত রেকর্ড

৩০৯ রানের পাহাড়সম ব্যবধানের জয়ে যেমন রেকর্ড হয়েছে। তার আগে অজিদের ৩৯৯ রানের সংগ্রহের পথেও হয়েছে নানা রেকর্ড।

অস্ট্রেলিয়া-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে যত রেকর্ড

৩০৯ রানের পাহাড়সম ব্যবধানের জয়ে যেমন রেকর্ড হয়েছে। তার আগে অজিদের ৩৯৯ রানের সংগ্রহের পথেও হয়েছে নানা রেকর্ড। সে পুঁজি নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নেমেও তো আর হয়েছেই। সবই দেখে আসি চলুন সংখ্যায় সংখ্যায়…

১- অস্ট্রেলিয়ার ৩০৯ রানের চেয়ে বড় জয় আর মাত্র একটিই আছে। রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় সেই জয় ভারতের। ৩৯০ রানের পুঁজি নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৭৩ রানে অলআউট করে ৩১৭ রানে জিতেছিল তারা। তিনশ রানের বেশি ব্যবধানে ওয়ানডে ইতিহাসে জয় আছে মোট তিনটি। এই দুটির সঙ্গে আরেকটি জিম্বাবুয়ের। ৪০৮ রানের সংগ্রহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০৪ রানে অলআউট করে তারা জিতেছিল ৩০৪ রানে। ক্রিকেটবিশ্ব ওয়ানডেতে তিনশর বেশি রানের জয় তিনটিই দেখেছে একই বছরে, ২০২৩ সালে।

২- শতরানের ইনিংসে ম্যাক্সওয়েলের স্ট্রাইক রেট বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৪৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংসে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৪০.৯০। এর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে বিশ্বকাপ আর দেখেছিল যে একটি শতরানের ইনিংস, সেটি এবি ডি ভিলিয়ার্সের হাত ধরে। ৬৬ বলে ১৬২, মনে পড়ে? ২৪৫.৪৫ স্ট্রাইক রেটের সে ইনিংস এসেছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

১- ছয় বা তার নিচে নেমে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছক্কা মেরেছেন ম্যাক্সওয়েল। ছয় নাম্বার ব্যাটার হয়ে নেমে আটটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এর আগে ছয় বা তার নিচে নেমে সর্বোচ্চ ছয়টি ছক্কা মেরেছিলেন কপিল দেব, ১৯৭৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ১৭৫ রানের ইনিংস খেলার পথে।

১৪.৩৭- গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শের ৪৩ বলে ১০৩ রানের জুটিতে রানরেট হচ্ছে ১৪.৩৭। যা বিশ্বকাপে যেকোনো উইকেটে শতরানের জুটিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর উপরের দুটি অবশ্য সামান্য এগিয়ে আছে। সর্বোচ্চ ১৪.৬৫ রানরেটে ৪৩ বলে ১০৫ রানের জুটি গড়েছিলেন ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম ও মার্টিন গাপটিল, তা ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর মার্ক বাউচার ও জ্যাক ক্যালিস ১৪.৬১ রানরেটে শতরানের জুটি গড়েছিলেন নেদারল্যান্ডসেরই বিপক্ষে। ৫৫ বলে ১৩৪ রানের সে জুটি এসেছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে।

২১- নেদারল্যান্ডস ৯০ রানে অলআউট হওয়ার পথে খেলেছে মোটে ২১ ওভার। এর চেয়ে কম ওভারে ওয়ানডে ক্রিকেটে তারা অলআউট হয়নি কখনোই।

১- তিনশর বেশি রানে জয় প্রথম দেখেছে বিশ্বকাপ। এর আগে সর্বোচ্চ ২৭৫ রানের জয় এসেছিল। সেটিও অস্ট্রেলিয়ার, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যা পেয়েছিল অজিরা।

২- ৯০ রানের কমে ওয়ানডেতে নেদারল্যান্ডস অলআউট হয়েছে দুবার। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮০ রানেই সবকটি উইকেট হারিয়েছিল ডাচরা। আর শ্রীলঙ্কা ২০০২ সালে ডাচদের অলআউট করে দিয়েছিল ৮৬ রানেই।

৩৯৯- বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৯৯। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অজিদের গড়া ৪১৭ রানের স্কোর বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ।

১১৫- ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সবচেয়ে খরুচে বোলিং ফিগারের রেকর্ডের মালিক হয়েছেন বাস ডি লিডি। এর আগে যে রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার দুজনের। ২০০৬ সালে মিক লুইস দিয়েছিলেন ১১৩ রান। একই প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০২৩ সালে সমান রান দিয়েছিলেন অ্যাডাম জ্যাম্পা।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

3h ago