ম্যারাডোনা আমাদের মধ্যেই ছিলেন: স্কালোনি
১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে একক নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ পাইয়ে দিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এরপর একের পর এক বিশ্বকাপে হতাশায় পুড়েছে দেশটি। ২০১০ সালে কোচ হয়েও চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন ম্যারাডোনা। ২০২০ সালে এই ফুটবল কিংবদন্তি আকস্মিকভাবে জীবনেরও ইতি টানেন। ৩৬ বছর পার করে অবশেষে এবার বিশ্বকাপ ঘুরে তুলেছে আলবিসেলেস্তারা। অথচ এমন দিন দেখে যেতে পারলেন না ম্যারাডোনা। বিশ্বকাপ জয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি অবশ্য বলছেন, তাদের সঙ্গেই ছিলেন মহানায়ক।
এবার বিশ্বকাপে মাঠের খেলায় আর্জেন্টিনাকে টানেন লিওনেল মেসি। মাঠের বাইরে রণকৌশল সাজিয়ে বড় নায়ক আরেক লিওনেল। স্কালোনিকে মনে করা হচ্ছে আর্জেন্টিনার এবারের সাফল্যের মূল কারিগর।
রোববার ফাইনালে ৩-৩ গোলে অতিরিক্ত সময়ের খেলা থামার পর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে স্তব্ধ করে দিয়ে কাপ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। মেসি, আনহেল দি মারিয়ারা ভাসেন উচ্ছ্বাসে, আনন্দে বেরিয়ে আসে তাদের চোখের জল।
ফাইনাল শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে স্কালোনি জানান, ম্যারাডোনা না থেকেও আসলে তাদের মাঝে ছিলেন, 'দেখুন আপনি বলতে পারেন তিনি এখানে নেই, অন্যভাবে চিন্তা করে দেখুন তিনি আমাদের সঙ্গেই ছিলেন।'
'সৌভাগ্যক্রমে আমরা ট্রফি জিততে পেরেছি। যে স্বপ্ন বহুদিন ধরে আমরা দেখে আসছিলাম। আমরা ফুটবল পাগল জাতি।'
স্কালোনির মতে আর্জেন্টিনার সাফল্যের এই সময়টা ম্যারাডোনা নিশ্চয়ই দেখছেন, 'আমি আশা করি তিনি উপর থেকে উপভোগ করছে। যদি তিনি আজ এখানে থাকতেন ভীষণ উপভোগ করতেন, মাঠে নেমে আসা প্রথম ব্যক্তি হতেন তিনি। তবে আমি বলব তিনি কোন এক জায়গায় থেকে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছেন।'
আর্জেন্টিনা শুরুতে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও প্রবল বিক্রমে ফ্রান্স ফিরে এসেছিল খেলায়। শেষ অবধি টাইব্রেকারে স্নায়ু ধরে রাখতে পারায় খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত আর্জেন্টিনা কোচ, 'গ্রুপ হিসেবে তারা যা করেছে তাতে আমি গর্বিত। এরকম পারফরম্যান্স আপনাকে আবেগ তাড়িত করবে। আমি সবাইকে বলব দেশের ঐতিহাসিক মুহূর্ত উদযাপন করুন।'
Comments