হলুদ কার্ড কাল হয়ে দাঁড়াল যাদের
এমন বিশ্বকাপ হয়তো কল্পনাতেও ছিল না ফুটবলপ্রেমীদের! অঘটন আর রোমাঞ্চের বিচারে কাতার বিশ্বকাপ ছাড়িয়ে গেছে বিগত অনেক আসরকেই। দেখতে দেখতে ৩২ দলের প্রতিযোগিতা পরিণত হয়েছে চার দলের দ্বৈরথে। তবে দলকে ফাইনালে তোলার অভিযানে সরাসরি অংশ নিতে পারবেন না কয়েকজন দুর্ভাগা ফুটবলার। দুটি হলুদ কার্ড দেখে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন তারা।
ফিফার আইন অনুযায়ী, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত কোনো খেলোয়াড় যদি দুটি হলুদ কার্ড দেখেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা পান ঠিক পরের ম্যাচে। কাতারে শেষ চারের মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে তিন ফুটবলারকে পেতে হচ্ছে এমন সাজা। ফলে আক্ষেপে পুড়তে হচ্ছে তাদের।
খেলোয়াড়দের এই নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ভর করছে আর্জেন্টিনা শিবিরে। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হলুদ কার্ড দেখে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেছেন গঞ্জালো মন্তিয়েল ও মার্কোস আকুনা। তারা আলবিসেলেস্তেদের ফুলব্যাক পজিশনের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মন্তিয়েল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে কপাল পুড়েছে সেভিয়া রাইট ব্যাকের। অন্যদিকে, গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন আকুনা। ডাচদের বিপক্ষে দ্বিতীয় কার্ড পাওয়ায় ক্রোয়াটদের বিপক্ষে মাঠে নামা হচ্ছে না তার।
মন্তিয়েল-আকুনার মতো হতাশার সাগরে ডুবতে হচ্ছে মরক্কোর ওয়ালিদ চেদিরাকেও। পর্তুগালের বিপক্ষে শেষ আটের ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। অবধারিতভাবে তা পরিণত হয় লাল কার্ডের শাস্তিতে। নিয়ম অনুযায়ী, সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামা হচ্ছে না ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের।
এসব নিয়ে অবশ্য কোনো দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়াকে। খেলোয়াড়দের কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞা না থাকায় নির্ভার থাকতে পারছেন দুই কোচ দিদিয়ের দেশম ও জ্লাতকো দালিচ। আচমকা কোনো চোট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে দলের সব তারকাকেই ফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে পাচ্ছেন তারা।
Comments