বিশ্বকাপে মেসি বা এমবাপেকে সমর্থনের প্রশ্নে যা বললেন নেইমার
চোটে পড়েও ফিরে এসে এসেছিলেন অদম্য মনোবল দিয়ে। গোল করে এগিয়েও নিয়েছিলেন ব্রাজিলকে। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন এবারও অধরা রয়ে গেল নেইমারের। নিজের দল ছিটকে যাওয়ায় ক্লাব পিএসজির দুই সতীর্থ লিওনেল মেসি কিংবা কিলিয়ান এমবাপেকে সমর্থন করবেন কিনা সেটা জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। অশ্রুসিক্ত তারকা জবাব দেন, নিজেকেই সমর্থন করছিলেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিট পরও জয়সূচক গোল করতে পারেনি ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া কোনো দলই। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে দারুণ এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন নেইমার। তিতের শিষ্যরা যখন নিশ্চিত জয় দেখছিল, তখনই দৃশ্যপট পাল্টে দেন বদলি ব্রুনো পেতকোভিচ। তার শেষদিকের গোলে খেলা গড়ায় পেনাল্টিতে। সেখানে ৪-২ গোলে জিতে ব্রাজিলের বিদায় ঘণ্টা বাজায় জ্লাতকো দালিচের শিষ্যরা। ফলে আরও একবার ভগ্ন হৃদয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে নেইমারকে।
ব্রাজিলের বিদায় নিশ্চিত হলেও মরুর বুকে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে টিকে রয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা ও এমবাপের ফ্রান্স। একই রাতে পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারেই পরাস্ত করে শেষ চারে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে, শিরোপাধারী ফ্রান্স গতকাল শনিবার রাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে উঠেছে সেমিফাইনালে।
ক্রোয়াটদের বিপক্ষে হারের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেই কষ্ট হচ্ছিল ৩০ বছর বয়সী নেইমারের। মেসি অথবা এমবাপেকে সমর্থন করবেন কিনা এমন প্রশ্নে খুশিও হননি তিনি। তিনি উত্তর দেন, 'এটা নিয়ে এখন কথা বলা কঠিন। আমি নিজেকেই সমর্থন করছিলাম।'
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের পক্ষে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে নেইমার গড়েন নতুন কীর্তি। তিনি ছুঁয়ে ফেলেন তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলের সেলেসাওদের জার্সিতে ৭৭ গোলের রেকর্ড। দল হেরে যাওয়ায় এমন অর্জন আর উদযাপন করা হয়নি নেইমারের।
Comments