মেসির যে ড্রিল অনুকরণ করেন ফোডেন
সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অনেক তরুণের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার নামও তিনি। তাদের কেউ কেউ নিজেরাই এখন পরিণত হয়েছেন উঠতি তারকায়। ম্যানচেস্টার সিটি ও ইংল্যান্ডের তরুণ তারকা ফিল ফোডেনের বলের নিয়ন্ত্রণ ও পাসিং উন্নতিতে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছেন লা পুল্গা।
২২ বছর বয়সী ফোডেন এরই মধ্যে দারুণ গতি, ড্রিবলিং, পাসিং ও গোল করার দক্ষতায় নজর কেড়েছেন সবার। ম্যানসিটি ও ইংল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও তিনি। মাত্র চার বছর বয়সে সিটিজেন ক্লাবটিতে নাম লেখান ফোডেন। তিনি যখন নিজেকে গড়ে তুলছেন, লিওনেল মেসি ততোদিনে বনে গেছেন প্রতিষ্ঠিত তারকা। সিটির বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচের সময় একবার কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন ক্ষুদে জাদুকরকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবার আগে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করে ফোডেন বলেন, 'আমার মনে আছে আমি তখন একাডেমিতে ছিলাম ও সিটির (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ ছিল। আমার মনে আছে মেসি ও দানি আলভেস অনেক দূর থেকে এটা (নিজেদের মধ্যে বলকে মাটিতে না পড়তে দিয়ে পাসিং) করছিল, ও একবারও বল মাটিতে পড়তে দেয়নি। সেই প্রথম আমি কাউকে এটা করতে দেখেছিলাম। আমার অনুশীলনেও আমি সেটাকে অন্তর্ভুক্ত করলাম।'
সিটি তারকার এতোটাই মনে ধরেছিল সেই ড্রিল যে এখনও সেটা অনুশীলন করেন তিনি, 'এতো বছর ধরে আমি এটা অনুশীলন করেছি। এটাতে আমি ক্রমেই দক্ষ থেকে অধিক দক্ষ হয়েছি। এটা সহজ নয়, সঠিক স্থানে পাস দেওয়ার কোনো সহজ কৌশল নয় এটা এবং অবশ্যই বলের একদম মোক্ষম স্থানে আপনাকে সংযোগ ঘটাতে হবে।'
নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ইতোমধ্যে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মেসির আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে শনিবার রাতে ফ্রান্সকে হারাতে পারলে শেষ চারে পা রাখবে ফোডেনের ইংল্যান্ডও। আলবিসেলেস্তে ও ইংলিশরা নকআউট পর্বের শেষ ধাপ সফলভাবে পার হতে পারলে তাদের দেখা হবে ফাইনালে। শৈশবে যাকে দেখে শিখেছেন তার বিপক্ষে বিশ্বমঞ্চে খেলার সুযোগ পাবেন কি ফোডেন?-সেটাই এখন দেখার।
Comments