পেলের ঠিক পরেই এমবাপে
ক্লাব ফুটবলের দারুণ ফর্ম কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গী হয়েছে কাতারেও। ফ্রান্স ফরোয়ার্ড খেলছেন কেবল নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে, তাতেই নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে আসরের শেষ ষোলোর ম্যাচে জোড়া গোল করে তিনি পৌঁছে গেলেন ব্রাজিল কিংবদন্তী পেলের ঠিক পরের অবস্থানে।
১৯৫৮ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের তিন ম্যাচে একটি হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোল করেছিলেন তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে। সেজন্য তার লেগেছিল মাত্র ১৭ বছর ২৪৯ দিন। বিশ্বকাপের নকআউটে সবচেয়ে কম বয়সে পাঁচ গোল করার এই রেকর্ড টিকে আছে এখনও। অথচ কেটে গেছে ৬৪ বছর!
আল থুমামা স্টেডিয়ামে রোববার রাতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারায় ফ্রান্স। ম্যাচে জোড়া গোল করেন পিএসজি তারকা এমবাপে। এতে ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে তার গোলসংখ্যা সব মিলিয়ে হলো পাঁচ। বয়সের হিসাবে তার লেগেছে ২৩ বছর ৩৪৯ দিন। ফলে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের নকআউটে পাঁচ গোল করার কীর্তি এখন এমবাপের। গত ২০১৮ আসরের শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জোড়া গোল ও ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এক গোল করেছিলেন তিনি।
হালের অন্যতম দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো এই জায়গায় পিছিয়ে আছেন ফরাসি তরুণ তুর্কির চেয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত শনিবার রাতে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম নকআউট গোলের দেখা পেয়েছেন লা পুল্গা। অন্যদিকে, সিআর সেভেন এখন পর্যন্ত এই পর্বে গোলহীন।
মরুর বুকে নিজেদের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ খেলছেন আর্জেন্টাইন ও পর্তুগিজ মহাতারকা। বিশ্বকাপে ২৩ ম্যাচে নয় গোল মেসির। আর ২০ ম্যাচ খেলা রোনালদোর নামের পাশে আট গোল। ফুটবলের মহাযজ্ঞে তাদের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলেই নিজের সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন এমবাপে। ১১ ম্যাচে ইতোমধ্যে নয়বার জাল খুঁজে নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ মেসির পাশে থাকার পাশাপাশি রোনালদোর চেয়ে এক গোলে এগিয়ে।
চোট ও ফর্ম বাধা হয়ে না দাঁড়ালে এমবাপের সুযোগ রয়েছে আরও একাধিক বিশ্বকাপ খেলার। তাছাড়া, তার আছে ফ্রান্সের জার্সিতে বিশ্বকাপ জয়ের সুখস্মৃতিও, যা মেসি-রোনালদোর জন্য এখনও স্বপ্ন।
Comments