ঝুঁকিতে ছিলেন না পেলে, গণমাধ্যমের উপর ক্ষোভ মেয়েদের
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম 'ফোলহা ডে সাও পাওলো'র বরাতে পুরো বিশ্বে খবরটা রটে যায়। তাদের দাবি ছিল জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন পেলে। কেমোথেরাপি তো কাজ করছেই না, রাখা হয়েছে 'প্যালিয়াটিভ কেয়ার' ইউনিটে। এ সকল সংবাদে বেজায় চটেছেন পেলের দুই মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো ও ফ্লাভিয়া নাসিমেন্তো। তাদের বাবার অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ ছিলেন না দাবি করে বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন তারা।
গত মঙ্গলবার হৃৎযন্ত্রের সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ায় সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে পেলেকে ভর্তি করা হয় বলে জানা যায়। এরপরই নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মূলত বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারে ভুগছিলেন পেলে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে অস্ত্রোপচারও করানো হয়। তবে সমস্যার সমাধান পুরোপুরি না হওয়ায় কেমোথেরাপি চলছে তার। তবে এবার সেই ক্যান্সারের সমস্যার কারণে পেলেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি বলে দাবি করলেন তাদের মেয়েরা।
স্থানীয় টিভি চ্যানেল ফেন্তাস্তিকোতে কেলি পেলের সার্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বলেন, 'প্রায় তিন সপ্তাহ আগে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। তাকে টিকা দেওয়া হয়েছে, দসব টিকা নিয়েছেন। কিন্তু ক্যান্সারের ওষুধ, কেমোথেরাপির কারণে এটা দুর্বল হয়ে যায়, তার ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে। সেই ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তার বয়স এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার কারণে এটা গুরুতর।'
পেলের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়ে আরেক মেয়ে ফ্লাভিয়া বলেন, 'হাসপাতালে, তাকে আরও ভালোভাবে দেখা হয়। তিনি আইসিইউতে নেই, তিনি একটি সাধারণ কক্ষে রয়েছেন। তাই সে ঝুঁকিতে নেই। তার স্বাস্থ্যগত সূক্ষ্ম জিনিসগুলো নিশ্চিত করতে হাসপাতালে থাকা ভালো।'
'তার এই অবস্থায়, উপশমকারী চিকিত্সা সহ অন্যান্য কথা বলা খুবই অন্যায্য। এমন না যে আমাদেরই বিশ্বাস করতে হবে। অন্য কারও চেয়ে বেশি আমরা চাই যেন সেই মুহূর্তটি না আসুক। কিন্তু অবশ্যই, একদিন এটি ঘটবে, কিন্তু এটি এখন নয়, এখন এমন পরিস্থিতি হয়নি যে আপনাকে উদ্বিগ্ন থাকতে হবে। তার কোথাও কোনো ব্যথা নেই। এই ধরনের ক্যান্সারে ব্যথা থাকে না। যাদের হাড়ের ক্যান্সার তাদের ব্যথা থাকে।' গণমাধ্যমের উপর তোপ দাগিয়ে এমনটাই বলেন ফ্লাভিয়া।
Comments