বেলজিয়ামকে শঙ্কায় ফেলে মরক্কোর দারুণ জয়
কানাডার বিপক্ষে জয় পেলেও বেশ ভুগতে হয়েছিল বেলজিয়ামকে। খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লান্তির ছাপ দেখা গিয়েছিল স্পষ্ট। সে ধারাবাহিকতা বজায় রইল মরক্কোর বিপক্ষেও। তবে এবার আর ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি তাদের। অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে মরক্কো। আরও একটি অঘটন দেখল বিশ্ব।
রোববার দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মরক্কো। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কোর হয়ে গোল দুটি করেছেন আব্দেলহামিদ সাবিরি ও জাকারিয়া আবুখলাল।
অথচ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল। নকআউটের সমীকরণটাও তাদের পক্ষেই ছিল। জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ড টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের। আগের ম্যাচের অগোছালো ফুটবল ছেড়ে আরও ভালো ফুটবল প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু পুরো ম্যাচেই সে অর্থে খুঁজে পাওয়া যায়নি কেভিন ডি ব্রুইনাদের।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে গত আসরের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিয়েছিল মরোক্কো। ভাগ্য সঙ্গে থাকলে সেদিনও জয় পেতে পারতো দলটি। এদিন বেলজিয়ামের সঙ্গে সমান তালে লড়েই তুলে নিল দারুণ জয়। দুই যুগ পর বিশ্বকাপে জয় পেল আফ্রিকার দেশটি। সবশেষ ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশকাপে স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল তারা।
তবে মাঝমাঠের দখল ছিল বেলজিয়ানদেরই বেশি। ৬৭ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদেরই। তবে দুই দল সমান ১০টি করে শট নেই। তবে ৩টি শট লক্ষ্যে রাখে বেলজিয়াম, যেখানে একটি বেশি শট নিতে পারে মরক্কো।
অবশ্য শুরুটা দারুণ করেছিল বেলজিয়াম। প্রথম আট মিনিটেই ৪টি কর্নার আদায় করে নেয় দলটি। পঞ্চম মিনিটে মিচি বাতশুয়াইয়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে এগিয়ে যেতে পার তারা। ২১তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির বাড়ানো বলে হাকিম জিয়েখের নেওয়া বাম পায়ের শটও লক্ষ্যে থাকেনি। সাত মিনিট পর ফাঁকায় থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন সেলিম আমাল্লারও।
তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বেলজিয়ামের জালে বল জড়িয়েছিল মরক্কো। কিন্তু গোল মিলেনি অফসাইডের কারণে। সরাসরি জিয়েখ ফ্রি কিক জালে জড়ায়। তবে গোলরক্ষকের সামনে রোমান সাইস ছিলেন বাধা হয়ে। যে কারণে ভিএআরে বাতিল হয় গোলটি। গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
তবে বিরতির পর যেন সেই গোলের পুনরাবৃত্তি করে বদলি খেলোয়াড় সাবিরি। প্রায় একই পজিশন থেকে ৭৩তম মিনিটে তার নেওয়া ফ্রি কিক থেকে সরাসরি লক্ষ্যভেদ করেন এ ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক কোর্তোয়ার ঠিক সামনেই বল ড্রপ করলে বুঝে ওঠার আগেই বল জালে প্রবেশ করে। বিশ্বকাপে সরাসরি ফ্রি-কিকে প্রথম গোল এটি।
পিছিয়ে পড়েও নিজেদের খেলায় গতি আনতে পারেনি বেলজিয়াম। উল্টো ম্যাচের যোগ করা সময়ে আরও একটি গোল হজম করে তারা। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দারুণ এক কাটব্যাক করেন জিয়েখ। ফাঁকায় থেকে জোরাল শটে দিক বদলে লক্ষ্যভেদ করেন আবুখলাল।
Comments