রোনালদোর রেকর্ড ভেঙে দিলেন 'তুরস্কের মেসি'

আর্দা গুলার। ১৯ বছর বয়সী এই তরুণের খেলায় মুগ্ধ হয়ে আদর করে তাকে 'তুরস্কের মেসি' বলে ডাকেন ভক্ত-সমর্থকরা। আর কেন ডাকেন তার প্রমাণ ইউরোর অভিষেক ম্যাচেই দিলেন তিনি। ভেঙে দিয়েছেন দুই দশক আগে করা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন তুরস্কের এই তরুণ।

জার্মানির ডর্টমুন্ডের বিভিবি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে 'এফ' গ্রুপের ম্যাচে জর্জিয়াকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে তুরস্ক। ২৫তম মিনিটে মার্ত মুলদারের গোলে তুরস্ক এগিয়ে গেলেও সাত মিনিট পর জর্জেস মিকাউতাদজির গোলে সমতা ফেরায় জর্জিয়া। প্রথমার্ধ সমতায় শেষ হওয়ার পর ৬২তম মিনিটে প্রায় ২৭ গজ দূর থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন গুলার। শেষ দিকে আরও একটি গোল পায় তারা।

মূলত গুলারের গোলেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। এর আগে সমান তালেই লড়াই চলছিল দুই দলের। দলের খুব প্রয়োজনের সময়ে গোলকে জেতানোর পাশাপাশি রেকর্ডও গড়েন গুলার। মাত্র ১৯ বছর ১১৪ দিনে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গোল দিলেন তিনি। এর আগে ২০০৪ সালে গ্রিসের বিপক্ষে ১৯ বছর ১২৮ দিন বয়সে গোল দিয়েছিলেন রোনালদো। একই সঙ্গে তৃতীয় টিনএজার হিসেবে ইউরোর অভিষেকেই গোল পেলেন গুলার। তার এবং রোনালদোর আগে ১৯৬৪ সালে স্পেনের বিপক্ষে হাঙ্গেরির হয়ে গোল করেছিলেন ফেরেঙ্ক বেনে।

অসাধারণ পারফরম্যান্সে এদিন ম্যাচ সেরাও হয়েছেন গত জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচে অনুভূতি প্রকাশের ভাষা যান হারিয়ে ফেলেন গুলার, 'আমি রোমাঞ্চিত, কেমন অনুভব করছি, তা বর্ণনা করার জন্য কোনো শব্দ নেই আমার কাছে। আমি সবসময় এমন গোলের স্বপ্ন দেখেছি। যে অসাধারণ ভালোবাসা আমি পাচ্ছি, তার প্রতিদান দেওয়ার জন্য বাড়তি কঠোর পরিশ্রম করছি।'

'সম্প্রতি ট্রেনিং সেশনের শেষ দিকে আমি এই বিশেষ শটের অনুশীলন করেছি। এভাবে গোল করতে পেরে আমি খুবই খুশি। কার্লো আনচেলত্তি (রিয়াল মাদ্রিদ কোচ) আজ ম্যাচের আগে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন এবং আমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থনও আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago