স্লগ ওভারের বোলিংই তৈরি করে দেয় জেতার ভিত
ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল আগ্রাসী। দুই ওপেনারের ঝাঁজের মাঝে সাকিব আল হাসানের সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়া প্রথম ১০ ওভারে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বাংলাদেশকে। কিন্তু পরের ১০ ওভারে বদলে যায় ছবি। বিশেষ করে শেষ ৫ ওভারে হাসান মাহমুদরা দারুণ বল করে উড়তে থাকা ইংল্যান্ডের ডানা ভেঙে নামিয়ে আনেন মাটিতে। শেষের এই বোলিংকেই জেতার ভিত হিসেবে দেখছেন ম্যাচ সেরা নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫১ রান তুলেছিলন ইংল্যান্ড। নাসুম আহমেদের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন জস বাটলার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বিস্ময়করভাবে তা ফেলে দিলে বেড়ে যায় চাপ। জীবন পাওয়া ইংল্যান্ড কাপ্তান বাংলাদেশের অস্বস্তি বাড়িয়েই যাচ্ছিলেন। প্রথম ১০ ওভারে তারা তুলে নেয় ১ উইকেটে ৮০ রান। ১৫ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ২ উইকেটে ১২৬।
ওই পরিস্থিতি থেকে এরপরের ৫ ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা দেন মাত্র ৩০ রান। শেষ ৪ ওভারে ইংল্যান্ড নিতে পারে স্রেফ ২১ রান। ইনিংসের শেষ ধাপে তারা হারায় ৫ উইকেট। নাগালের মধ্যে (১৫৭) লক্ষ্য পাওয়ার পেছনে শেষের এই বোলিংয়ে বড় করে দেখছেন শান্ত, 'শেষের ১০ ওভার আমরা বোলিংয়ে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, তখনই আমাদের ওই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে যে এই রান তাড়া করা সম্ভব। পরে ব্যাটিংয়ে যেভাবে শুরুটা পেয়েছি, তখন থেকেই আমরা আত্মবিশ্বাসটা পেয়েছি যে আমরা যদি এক-দুইটা জুটি গড়তে পারি। তাহলে খেলাটা আমরা জিততে পারব।'
স্লগ ওভারের বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাসান। প্রথম দুই ওভারে এই তরুণ দিয়ে ফেলেছিলেন ২১ রান। নিজের শেষ দুই ওভারে কেবল ৫ রান দিয়ে তিনি আউট করেন বিপদজনক জস বাটলার ও স্যাম কারানকে। এই তরুণের প্রশংসা ঝরল শান্তর কণ্ঠে, 'আমার মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ স্পেল করেছে (হাসান)। বিপিএলে সে খুব ভালো বল করেছে। ওই জিনিসটাই হয়ত এই ম্যাচেও আত্মবিশ্বাসটা কাজে দিয়েছে। হাসান, মোস্তাফিজ, তাসকিন শেষে তিনজনই খুবই ভালো করেছে। যার কারণে ১৫৬ তে আমরা আটকাতে পেরেছি ওদের।'
Comments