বিপিএলে সাকিবকে ছাড়িয়ে চূড়ায় উঠলেন তাসকিন
তাসকিন আহমেদের বল রংপুর রাইডার্সের স্টিভেন টেইলরের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ল উইকেটরক্ষক আকবর আলির গ্লাভসে। সঙ্গে সঙ্গে সাকিব আল হাসানের কীর্তিতে ভাগ বসালেন দুর্বার রাজশাহীর ডানহাতি পেসার। এরপর রাকিবুল হাসানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে এককভাবে চূড়ায় উঠে গেলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এক মৌসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক উইকেট শিকারের রেকর্ড এখন তার।
রোববার মিরপুরে টেইলরকে আউট করে তাসকিন পান চলমান আসরের ২৩তম উইকেট। এরপর রাকিবুলকে বিদায় করে ২৪তম শিকার ধরে শীর্ষে পৌঁছে যান তিনি। বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের নজির এটি। ১১ ম্যাচ খেলেই তাসকিন টপকে গেলেন আগের রেকর্ডকে। বিপিএলের ২০১৯ সালের আসরে বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব পেয়েছিলেন ২৩ উইকেট। তিনি সেবার ঢাকা ডায়নামাইটসের পক্ষে খেলেছিলেন ১৫ ম্যাচ।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনোমতে ৯ উইকেটে ১১৯ রান করে রাজশাহী। এমন পুঁজি নিয়ে লড়াই করা ভীষণ কঠিন। তবে বোলিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই রাজশাহীকে উল্লাসের মুহূর্ত এনে দেন অধিনায়ক তাসকিন। চতুর্থ বলে তিনি সাজঘরে পাঠান আমেরিকান ব্যাটার টেইলরকে। এতে রংপুরের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে স্রেফ ২ রানে। টেইলর ৪ বলে ২ রান করে বিদায় নেন। তারপর নিজের শেষ ও ইনিংসের ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিনে কুপোকাত হন রাকিবুল। ২২ বলে দুটি চারে তার রান ২০।
এই ম্যাচের আগে সাকিবের চেয়ে মাত্র ১ উইকেট পেছনে ছিলেন ফর্মে থাকা ২৯ বছর বয়সী তাসকিন। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে চলতি মৌসুম শুরু করেন তিনি। পরের ম্যাচে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৯ রানে ৭ উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দেন তিনি।
বিপিএলের এক আসরে ২২ উইকেট নেওয়ার নজির আছে ছয়টি। সেখানেও আছে তাসকিনের নাম। ২০১৯ সালের মৌসুমে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সবার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেভন কুপার। তিনি ২০১৫ সালের আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে ২২ উইকেট পেয়েছিলেন ৯ ম্যাচে।
এরপর ২০১৭ সালের বিপিএলে ডায়নামাইটসের হয়ে ১৩ ম্যাচে ২২ উইকেট দখল করেছিলেন সাকিব। ২০১৯ সালের আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট পেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। একই আসরে ডায়নামাইটসের রুবেল হোসেন ২২ উইকেট শিকার করেছিলেন ১৫ ম্যাচে। আর গত ২০২৪ সালের মৌসুমে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম।
Comments