বিপিএল

তানজিদের চারশ ছোঁয়ার ম্যাচে চিটাগংকে উড়িয়ে দিল ঢাকা

ছবি: ফেসবুক

চলমান বিপিএলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে চারশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তানজিদ হাসান তামিম। ধারাবাহিকতা রেখে এবারের আসরে চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেন তিনি। তার ঝড়ে চিটাগং কিংসের ছুড়ে দেওয়া সাদামাটা লক্ষ্য অনায়াসে পেরিয়ে গেল ঢাকা ক্যাপিটালস। ১০ ম্যাচে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় জয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে উঠল তারা।

বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে জিতেছে ঢাকা। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে চিটাগং। জবাবে ১১ বল হাতে রেখে স্রেফ ২ উইকেট খুইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় ঢাকা।

ম্যাচসেরা বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ ব্যাট হাতে আগ্রাসন চালিয়ে ৯০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫৪ বল মোকাবিলায় তিনটি চারের সঙ্গে সাতটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বলে ডাবল নিয়ে খেলা শেষ করে দেন তিনি। চলতি বিপিএলে ১০ ম্যাচ খেলে ৪৬.৬৬ গড় ও ১৪৩.৮৩ স্ট্রাইক রেটে তানজিদের রান ৪২০। রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তার অবস্থান সবার ওপরে। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিনটি ফিফটি করেছেন তিনি।

উদ্বোধনী জুটিতে রান তাড়ার ভিত পেয়ে যায় ঢাকা। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তুলে ফেলে দলটি। নবম ওভারের শেষ বলে ৭৫ রানের জুটি ভাঙে ক্রিজে সাবলীল না থাকা লিটন দাসের বিদায়ে। বড় শট খেলার চেষ্টায় পাকিস্তানি পেসার হুসেইন তালাতের বলে সীমানার কাছে ধরা পড়েন তিনি। ২৮ বলে তার রান ২৫।

অন্যপ্রান্তে শুরু থেকেই তানজিদ ছিলেন ছন্দে। চারের চেয়ে ছক্কা মারাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য যেন বোধ করছিলেন। লিটনের বিদায়ের পর তিনি ফিফটি স্পর্শ করেন ২৮ বলে। তখন তার নামের পাশে একটি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ধারা শেষতক জারি রাখেন তানজিদ। যদিও মাঝে রান তোলার গতি কমে যায় বেশ। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৪ বলে ৩৬ রানের জুটিতে মুনিম শাহরিয়ারের অবদান ১২। সেজন্য তার অবশ্য লেগে যায় ১৮ বল।

স্পিনার আলিস আল ইসলামের বল ক্রিজ ছেড়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন একাদশে ফেরা মুনিম। এরপর ক্রিজে যাওয়া সাব্বির রহমান শুরু থেকেই ছিলেন ইতিবাচক। তাকে নিয়ে ২১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানের জুটিতে ঢাকাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তানজিদ। সাব্বির ৯ বলে একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৪ রান।

এর আগে চিটাগংকে দেড়শর নিচে আটকাতে আঁটসাঁট ছিলেন ঢাকার বোলাররা। স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন ৩ ওভারে ১৩ রানে নেন ২ উইকেট। বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা ৪ ওভারে ১ উইকেট পান ৩১ রানে। আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমান উইকেটশূন্য থাকলেও ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ দেন মাত্র ১৮ রান। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল হোসেন অপু ৩ ওভারে ২৭ রান খরচায় পান ২ উইকেট।

পাওয়ার প্লেতে চিটাগংয়ের ব্যাটিং ছিল অদ্ভুতুড়ে। কোনো উইকেট না হারালেও তারা স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে কেবল ৩০ রান। এক পর্যায়ে ২০ বলে ৭ রানে থাকা নাঈম ইসলাম শেষমেশ করেন ৪০ বলে ৪৪ রান। তার ব্যাট থেকে আসে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা। বিপিএলে অভিষিক্ত আফগান ওপেনার জুবাইদ আকবারি আউট হন ১৯ বলে ২৩ রান করে।

ইংলিশ গ্রাহাম ক্লার্ক, তালাত ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি রানের চাকায় দম দিতে পারেননি। শেষদিকে অবশ্য তাড়না দেখিয়ে ৬ ওভারে ৫১ রান যোগ করে চিটাগং। পাকিস্তানি হায়দার আলী ১১ বলে একটি করে চার ও ছক্কা মেরে করেন ১৬ রান। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন একটি করে চার ও ছক্কায় ৮ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

7h ago