‘প্রতিদিনই বলে কাল টাকা দিয়ে দেব’

এবারের বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন জটিলতা। দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা টাকা না পেয়ে একদিন অনুশীলনও বর্জন করেছিলেন। পরে সেই সমস্যার সাময়িক সমাধান হলেও সবাই এখনো টাকা পাননি। দলটির শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড় লাহিরু সামারাকোন টাকা না পেয়ে বিসিবির কাছেও নালিশ করেছেন। দ্য ডেইলি স্টারকে সামারাকোন জানান নিজের অবস্থা।
গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে যে আপনি আপনার ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে টাকা না পাওয়ার বিষয়টি বিসিবিকে (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) অফিসিয়ালি অবহিত করেছেন। এই খবরে কতটা সত্যতা আছে?
লাহিরু সামারাকোন: হ্যাঁ, ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাকে এখনও এক টাকাও দেয়নি। আমি প্রতিদিন তাদের টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি, কিন্তু তারা বলে যে তারা কাল আমাকে খেলার পরে বা আজ রাতেই টাকা দেবে। কিন্তু কখনোই সেই "কাল" আসে না।
আপনি গত মৌসুমে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে বিপিএলে খেলেছিলেন। সেই সময়ও কি একই ঘটনা ঘটেছিল?
সামারাকোন: গত বছর আমার দেশে ফেরার আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাকে পুরো চুক্তি অনুযায়ী টাকা দেয় এবং ডিএস (দৈনিক ভাতা) সহ অন্যান্য পেমেন্টও দেয়।
আপনার বর্তমান ফ্র্যাঞ্চাইজি দাবি করছে যে তারা সকল খেলোয়াড়ের ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করেছে।
সামারাকোন: আমি এখনও কিছু পাইনি। আমি শুধু ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক ভাতা পেয়েছি। গত সাত দিন ধরে আমার দৈনিক ভাতাও বকেয়া আছে।
আপনি বিসিবিকে কী লিখেছিলেন?
সামারাকোন: আমি বলেছিলাম যে আমার এখন টাকা নেই। অন্য খেলোয়াড়রা টাকা পেয়েছে কিন্তু আমিই একমাত্র যে টাকা পাইনি। আসলে আমার ম্যানেজার বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
আপনি আপনার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কার সঙ্গে কথা বলেছেন?
সামারাকোন: আমি ম্যানেজার (মেহরাব হোসেন ওপি) এবং মালিক (শফিক রহমান) উভয়ের সঙ্গেই কথা বলেছি। তারা এখন বলছে যে ২৩ জানুয়ারি খেলার আগে তারা সকল খেলোয়াড়কে ৫০ শতাংশ অর্থ প্রদান করবে।
আপনি বা আপনার কোনো সতীর্থ কি এখনও কোনো চেক পেয়েছেন?
সামারাকোন: না, আমরা এখনও কিছু পাইনি।
আপনি ম্যাচের দিন বা অনুশীলনের দিন মাঠে যাচ্ছেন না?
সামারাকোন: আমি শুধু গতকাল [সোমবার] মাঠে গিয়েছিলাম। এর আগে ১৯ জানুয়ারি আমি ম্যানেজারকে বলেছিলাম যে যদি আমি পেমেন্ট না পাই তাহলে আমি মাঠে যাব না।
আপনার বক্তব্য অনুযায়ী, আপনি এখন বেশিরভাগ সময় টিম হোটেলে কাটাচ্ছেন। আপনি কোন কোন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন?
সামারাকোন: চট্টগ্রামে অনেক শ্রীলঙ্কান আছে। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগছে। তারা আমাকে দেখতে এসেছিল।
Comments