পাঁচশোর বেশি রান করে টুর্নামেন্ট সেরা শান্ত
পুরো বিপিএল জুড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাফল্যের বড় কারিগর ছিলেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে দুইজনই সিলেটের। এরমধ্যে সর্বোচ্চ রান করে টুর্নামেন্ট সেরাও হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অনেক আলোচনা, সমালোচনাকে পেছনে ঠেলে সেরার ট্রফি হাতে নিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফাইনালেও হেসেছিল শান্তর ব্যাট। সিলেটকে ১৭৫ রানে নিয়ে যেতে ৪৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে বিপিএলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ছাড়িয়ে যান পাঁচশো রান। ১৫ ম্যাচ খেলে ৩৯.৬৯ গড় আর ১১৬.৭৪ স্ট্রাইকরেটে ৫১৬ রান করেন তিনি। বিপিএলের এক আসরে তারচেয়ে বেশি রান করেছেন আর কেবল একজন। ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সেটা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান রাইলি রুশো।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে ৫ লাখ ও টুর্নামেন্ট সেরা হিসেবে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পান শান্ত। টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার লড়াইয়ে তার সঙ্গে ছিলেন নাসির হোসেন, সাকিব আল হাসানরাও। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আলো ছড়িয়েছেন দুজনই। তবে শেষ পর্যন্ত দলের ফাইনালে উঠা এবং ফাইনালেও বড় অবদান রাখায় সেরা হন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি ভালো-মন্দ মেশানো অনুভূতি ব্যক্ত করেন, 'আমাদের দল ভাল ক্রিকেট খেলেছে। আজ দিনটা অবশ্য আমাদের ছিল না। তবে পুরো টুর্নামেন্টের দারুণ খেলেছি আমরা। আর আমি চেষ্টা করেছি প্রতি ম্যাচেই রান করে অবদান রাখতে। এবার সেটা করতে পেরেছি।'
ফাইনালে শান্তদের ছাপিয়ে ম্যাচ বের করে নেওয়া ক্যারিবিয়ান জনসন চার্লস ৫২ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন, তিনি পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
যৌথ সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট করে নিয়েছেন নেন কুমিল্লার বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ও রংপুর রাইডার্সের পেসার হাসান মাহমুদ।তানভীর অবশ্য হাসান থেকে ম্যাচ খেলেছেন দুটী কম। তাদের হাতে উঠেছে উঠেছে পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া সেরা ফিল্ডার হিসেবে তিন লাখ টাকার পুরস্কার জিতেছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের কিপার মুশফিকুর রহিম। চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা দল টুর্নামেন্ট জেতায় পাচ্ছে ২ কোটি টাকা। রানার্সআপ হিসেবে সিলেটে পেয়েছে ১ কোটি।
Comments