মুশফিক-শান্তর ফিফটিতে সিলেটের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
দুর্দান্ত ছন্দের ধারা ফাইনালেও ধরে রাখলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অসাধারণ এক ফিফটিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলের এক আসরে করলেন পাঁচশ রানের মাইলফলক। তার সঙ্গে জ্বলে উঠলেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও। তাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৭৫ রানের ইনিংস গড়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। অর্থাৎ শিরোপা ধরে রাখতে হলে ১৭৬ রান করতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। ইনিংসের প্রথম বলেই দুই ওপেনারের ভুল বোঝাবুঝিতে উইকেট হারাতে পারতো তারা। তবে উল্টো তাতে লাভ হয়ে যায় সিলেটেরই। ওভার থ্রো থেকে চার রান পেয়ে যায় দলটি। শেষ বলেও সেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। ওভার থ্রো থেকে ফের চার মিলে তাদের। সে ওভার থেকে আসে ১৭ রান।
তবে তানভীর ইসলামের করা পরের ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় সিলেট। পেছনের পায়ে ভর দিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তৌহিদ হৃদয়। কোয়ালিফায়ারের দুই ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি। এদিন অবশ্য সুবিধা করে উঠতে পারেননি। আন্দ্রে রাসেলের স্লোয়ারে কভারে দাঁড়ানো প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ইমরুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মাশরাফি।
অধিনায়কের বিদায়ের উইকেটে নামেন মুশফিকুর রহিম। শান্তর সঙ্গে দলের হাল ধরেন। তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৭৯ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। এ জুটি ভাঙেন মঈন আলী। বোল্ড করে দেন শান্তকে। তবে এর আগে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। ৪৫ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। তার এ ইনিংসে এবারের আসরে পাঁচশ রানের কোটাও পার করেন। মোট সংগ্রহ ৫১৬ রান। তার থেকে বেশি রান এ আসরে তো বটেই এক আসরে করতে পারেননি আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার।
শান্তকে হারানোর পর রায়ান বার্লকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন মুশফিক। অবশ্য খুব বেশি আগাতে পারেননি তারা। ২৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন বার্ল। মোস্তাফিজের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তবে এর এক বল আগেই ফিরতে পারতেন তিনি। আকাশে তুলে দিলেও সে ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি মোস্তাফিজ।
এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। ৩০ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারায় দলটি। তবে মুশফিকের দৃঢ়তায় বড় পুঁজি নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। কুমিল্লার পক্ষে ৩১ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান মোস্তাফিজ।
Comments