বিপিএল ফাইনাল

কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি, জেমসের গানে মাতল দর্শকরা

James
বিপিএল ফাইনালের আগে রকস্টার জেমসে মাতোয়ারা দর্শকরা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবারের বিপিএলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এমন চিত্র আর দেখা যায়নি! ফাইনাল শুরুর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেল গ্যালারি। সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লড়াই দেখার জন্য প্রবল উন্মাদনা নিয়ে তাদের যে গভীর প্রতীক্ষা তাতে বাড়তি আমেজ যোগ করলেন জেমস। বাংলাদেশের রক সঙ্গীতের এই কিংবদন্তির গানে মাতোয়ারা হলো স্টেডিয়ামে উপস্থিত সবাই।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বৃহস্পতিবার হোম অব ক্রিকেটে গড়িয়েছে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনাল। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মাঠে নেমেছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ও সিলেট। ইমরুল কায়েসের কুমিল্লার সামনে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে, মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেটের রয়েছে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ।

Warfaze

এবার তিন দফায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিএলের খেলা। মাঝে চট্টগ্রাম ও সিলেটে গিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি আসরটি। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শক থাকলেও ঢাকায় এতদিন মূলত ফাঁকাই পড়ে থাকত গ্যালারি। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ ঘিরে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ দেখা গেল। বল মাঠে গড়ানোর অনেক আগে থেকেই তারা মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে থাকেন। তাদের অনেকের গায়ে শোভা পায় পছন্দের দলের জার্সি।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ফাইনালে বাড়তি রোমাঞ্চ যোগ করতে কনসার্টের ব্যবস্থা রেখেছিল আয়োজকরা। সেকারণে এদিন দুপুর ১টা থেকে স্টেডিয়ামের গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়। কনসার্ট শুরু হয় বিকাল ৪টার দিকে। শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের সামনে সীমানারেখার বাইরে বানানো মঞ্চে প্রথমেই ওঠে জনপ্রিয় ব্যান্ড মাকসুদ ও ঢাকা। এরপর আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেজ পারফর্ম করে। তারা ৫-৬টি করে গান গায়।

Maksood

সবশেষে মঞ্চে দেখা যায় কনসার্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ নগরবাউল ব্যান্ড। তাদের ভোকাল রকস্টার জেমস একে একে প্রায় ১০টি গান পারফর্ম করে। সেসময় পুরো গ্যালারি তার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে সুর ধরে। ফাইনাল কভার করতে স্টেডিয়ামে আসা ক্রীড়া সাংবাদিকরাও ব্যতিক্রম ছিল না।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago