বাংলাদেশের দুইশ, আফিফ আক্রমণাত্মক হলেও ধুঁকছেন মাহমুদউল্লাহ
৬ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরলে জুটি বাঁধলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে ঠিক ৫০ রান যোগ করার পর তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করল জিম্বাবুয়ে। থিতু হয়ে বিদায় নিলেন তারা। অভিজ্ঞ মুশফিক আউট হলেন স্লগ সুইপ খেলে। লিটন দাসের চোটের কারণে একাদশে ফেরা শান্ত একবার জীবন পাওয়ার পরও কাজে লাগাতে পারলেন না সুযোগ। সেই চাপ সামলে জমে উঠেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনের জুটি।
রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাঁচা-মরার ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করছে তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৪০ ওভারে তামিম ইকবালের দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৬ রান। ক্রিজে আছেন মাহমুদউল্লাহ ৫০ বলে ২৭ ও আফিফ ৩৪ বলে ৩৫ রানে। তরুণ আফিফ আক্রমণাত্মক ঢঙে থাকলেও ধুঁকছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ।
ডিপ মিড উইকেটে টনি মুনিয়োঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক সাজঘরে ফেরেন ২৫ রানে। ৩১ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ১টি চার। অফ স্পিনার ওয়েসলি মাধেভেরের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে থামে তার ক্রিজে থাকা। মন্থর ইনিংস খেলা বাঁহাতি শান্তর হন্তারকও মাধেভেরে। অনেক বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক রেজিস চাকাভাস গ্লাভসবন্দি হন তিনি। তার ৫৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে চার ৫টি। ১২তম ওয়ানডে খেলতে নামা শান্তর এটি ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস।
শান্তকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে দেখা যায়নি, ছিলেন বেশ নড়বড়ে। এমনকি ব্যক্তিগত ৩৪ রানে মাঠ ছাড়তে পারতেন তিনি। পেসার লুক জঙ্গুয়ের ডেলিভারিতে টাইমিং করতে ব্যর্থ হয়ে বল আকাশে তুলে দিয়েছিলেন। মিড-অনে থাকা ব্র্যাডলি ইভান্স পেছনের দিকে দৌড়ে বলের গতিপথে যেতে পারেননি ঠিকঠাক। ডাইভ দিলেও বল তার হাতের নাগালে যায়নি। এরপরও শান্তর ২২ গজে থাকা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
প্রথম ওয়ানডেতে কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাটিং করে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুরু থেকেই রানের গতি সচল রেখে ব্যাটিং করেন তিনি। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে ৪৩ বলে তুলে নেন ফিফটি।
ফিফটি তুলে নেওয়ার পর তামিম টিকতে পারেন আর মাত্র ২ বল। আরও একটি বাউন্ডারি মারতে গিয়েছিলেন। টানাকা চিভাঙ্গার বল পুল করেছিলেন তিনি। তবে বাড়তি বাউন্সে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ধরা পড়েন মিড উইকেটে। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ রান করেন তামিম। তাতে পাওয়ার প্লের ঠিক পরের ওভারেই ভাঙে ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের আউটের ক্ষেত্রে নিজেদের কিছুটা দুর্ভাগা ভাবতেই পারে টাইগাররা। চিভাঙ্গার বলে ড্রাইভ করেছিলেন শান্ত। বোলার নিজেই বল ধরতে গেলে তার হাতে লেগে ভাঙে স্টাম্প। ক্রিজের বাইরে কিছুটা এগিয়েছিলেন বিজয়। অলসভাবে চেষ্টা চালালেও ফিরতে পারেননি। ২৫ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২০ রান করেন তিনি।
Comments