স্টার্লিংকে ফেরালেন শরিফুল, ব্যালবার্নি শিকার হাসানের
মাঝারি মানের পুঁজি জড়ো করেছে বাংলাদেশ। সেটার পেছনে ছোটা আয়ারল্যান্ড যাতে শক্ত ভিত না গড়তে পারে সেটাই তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলের প্রাথমিক চাহিদা। সেই লক্ষ্য পূরণে প্রথম আঘাত হানলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি সাজঘরে পাঠালেন পল স্টার্লিংকে। এরপর প্রতিপক্ষ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নিকে বোল্ড করলেন হাসান মাহমুদ।
মঙ্গলবার চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে লক্ষ্য তাড়ায় নামা আইরিশদের শুরুতেই চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের দুই পেসারই দারুণ বল করছেন। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৬ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৮ রান। ক্রিজে আছেন ওপেনার স্টিফেন ডোহেনি ১৭ বলে ৭ রানে। তার সঙ্গী মাত্রই মাঠে যাওয়া হ্যারি টেক্টর। তিনি এখনও কোনো বল মোকাবিলা করেননি।
স্বাগতিকদের ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই স্টার্লিংকে আউট করেন শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের লেংথে ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন স্টার্লিং। বল লুফে নিতে কোনো ভুল করেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে স্টার্লিংয়ের রান ১৫।
ঠিক আগের বলেই মাঠের প্রায় একই জায়গা দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন স্টার্লিং। কিন্তু বিপজ্জনক এই ডানহাতি ব্যাটারকে মাথাব্যথার কারণ হতে দেননি শরিফুল। পরের বলেই নেন প্রতিশোধ। এতে দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে শিকার ধরেন হাসান। এই ডানহাতি পেসারের ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে উপড়ে যায় ব্যালবার্নির স্টাম্প। ৯ বলে ১ চারে তার রান ৫। স্কোরবোর্ডে ২৭ রান উঠতেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে আইরিশদের।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। তাদের ইনিংসে ফিফটি ছিল কেবল একটি। একবার জীবন পেয়ে তা করেন ৩৬তম জন্মদিনে খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম। ছয়ে নেমে ৭০ বলে ৬ চারে ৬১ রান আসে ছন্দে থাকা অভিজ্ঞ মুশফিকের ব্যাট থেকে। সবশেষ চার ইনিংসে এটি তার তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। বাকিটিতে করেন ৪৪ রান।
ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে ৬৬ বলে ৪৪ করে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয় ও মিরাজ থিতু হয়ে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ফলে সংগ্রহ বড় হয়নি বাংলাদেশের। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে পেসার জশ লিটল ৩ উইকেট নেন ৬১ রানে। ২টি করে উইকেট পান মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হিউম। উইকেটের দেখা পান কার্টিস ক্যাম্ফার আর জর্জ ডকরেলও।
Comments