টেস্টের ম্যাচের মানসিকতায় ক্লান্তি দূর করবেন কোহলি
১২২ রানের মধ্যে ৬৮ রানই নিয়েছেন দৌড়ে, পরে ফিল্ডিং করেছেন আরও ৩২ ওভার। তবু ম্যাচের ভেতর বিরাট কোহলিকে দেখে একবারও ক্লান্ত মনে হয়নি। সারাক্ষণই চনমনে, ছিলেন শরীরী ভাষায় বরাবরের মতই ঝাঁজালো। ক্লান্তি যে তার আছে সেটা পুরস্কার বিরতনী আয়োজনে কথা বলতে এসে জানালেন, 'সাক্ষাতকারটা একটু ছোট করবেন, আমি খুব ক্লান্ত।'
শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অবশ্য তাদের ভীষণ। এশিয়া কাপে বৃষ্টি বিপাকে পড়ে ভারতকে টানা তিন দিনই মূলত মাঠে থাকতে হচ্ছে। রোববার ২৪ ওভার খেলার পর সোমবার রিজার্ভ ডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে হয়েছে বাকি ম্যাচ। মঙ্গলবার আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ আছে ভারতের।
৯৪ বলে ১২২ রানের ইনিংস খেলে ভারতের বিশাল জয়ের নায়ক জানালেন, টানা তিনদিন খেলা পড়ে যাওয়ায় ওয়ানডেতেও টেস্ট ম্যাচের কথা মাথায় রেখে নামবেন তারা, 'আমি ভাবছি কাল (আজ) তিনটায় আবার খেলা। ভাগ্য ভালো আমরা টেস্ট খেলোয়াড়। আমি একশোটা বেশি টেস্ট খেলেছি কাজেই জানি পরের দিন কীভাবে সতেজ হয়ে ফিরতে হয়। এখানে আর্দ্রতা অনেক বেশি ছিল, আমি নভেম্বরে ৩৫ বছর স্পর্শ করব। কাজেই নিজের যত্ন নেওয়ার ব্যাপার আছে।'
সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোহলি ছিলেন অনন্য। ৪৭তম সেঞ্চুরির দিনে ছাড়িয়ে গেছেন ওয়ানডেতে ১৩ হাজার রান, সেটাও আবার সবচেয়ে দ্রুততম। সঙ্গে দীর্ঘদিন পর ফেরা লোকেশ রাহুলও করেন সেঞ্চুরি। ৩৫৬ রান করে পাকিস্তানকে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত।
কোহলি জানান, শুরুতে রাহুলকে স্ট্রাইক দিয়ে এগিয়েছেন তিনি, পরে বাড়িয়েছেন নিজের রানের গতি, 'কেএল দারুণ শুরু পেয়েছিল, আমি কেবল তাকে স্ট্রাইক দিয়ে যাচ্ছিলাম। সহজে রান বের করছিলাম, যত সহজে দুই রান বের করা যায় করছিলাম।'
প্রথাগত শটের বাইরে কোহলি খুব একটা যান না। শেষ ওভারে এদিন খেলেন রিভার্স র্যাম্পের মতো শট। শেষ মুহূর্তে মানিয়ে নিয়ে ফাহিম আশরাফকে থার্ড ম্যান দিয়ে বাউন্ডারি মারেন তিনি। ওই শট নিয়ে তার মত, 'তখন সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছিল। আমি এরকম শট খেলি না, কারণ এসব শটে আমি খুব বাজে। আমি আর রাহুল দুজনেই প্রথাগত ক্রিকেটার। আমরা চটকদার জিনিসে চেষ্টাও করি না। তবে খুব খুশি এভাবে রান বের করতে পারায়।'
Comments