উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে ফিরলেন রোহিত-শুভমান
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল পাকিস্তানই। উদ্দেশ্য ছিল শুরুর দিকে উইকেট তুলে ভারতকে চাপে ফেলতে। তবে দুই ওপেনার শিভমান গিল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। বিনা উইকেটেই শত রানের কোটা পার করেছে দলটি। এরপর অবশ্য এ দুই ওপেনারকে ফেরাতে পেরেছে পাকিস্তান।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের ম্যাচে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ২১ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৭ রান। বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল ১০ রানে রয়েছেন উইকেটে।
ম্যাচের শুরুতে রোহিত কিছুটা দেখে খেললেও শুভমান শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে হাত খুলে খেলতে থাকেন অধিনায়কও। এক সময় তো শুভমানকেও ছাপিয়ে যান। তাতে রান উঠতে থাকে দ্রুত গতিতেই। ৮.২ ওভারে অর্থাৎ ৫০ বলে আসে দলীয় ফিফটি। তবে পরের ফিফটি আসে মাত্র ৩০ বলে। ১৩.২ ওভারে দলীয় শতরান পার করে দলটি।
দুই ওপেনারই এরমধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজেদের হাফসেঞ্চুরিও। ৩৭ বলে ১০টি চারের সাহায্যে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন শুভমান। আর ৪২ বলে টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ফিফটি পূরণ করেন অধিনায়ক রোহিত। তবে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর আগ্রাসন আরও বাড়িয়ে দেন অধিনায়ক।
ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আউট হন রোহিত। শাদাব খানের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে লংঅফের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বেশ কিছু দূর দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ। ভাঙে ১২১ রানের জুটি। ১০০ বলে এই জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।
জুটি ভাঙতেই ফের বোলিংয়ে আসেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বল হাতে এদিন শুরুতে নাসিম শাহ দারুণ বল করলেও এলোমেলো বোলিং করেন সময়ের অন্যতম সেরা এ পেসার। প্রথম ওভারে একটি ছক্কা হজম করলেও পরের দুই ওভারে তাকে তিনটি করে বাউন্ডারি মারেন শুভমান। প্রথম তিন ওভারে এই পেসার খরচ করেন ৩১ রান।
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে সেই শুভমানকে ফেরান শাহিন। তার গুডলেন্থের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে শাদাব কাহ্নের হাতে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ৫২ বলে ৫৮ রান তার ব্যাট থেকে। তবে ব্যক্তিগত ৩০ রানেও সুযোগ দিয়েছিলেন শুভমান। নাসিম শাহর শর্ট বলে ব্যাটের কানায় লাগলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সেখানে দাঁড়ানো ফিল্ডার ইফতেখার আহমেদ কোনো চেষ্টাই করেননি।
Comments