সেই ফাইনাল হারের ক্ষত এখনো পোড়ায় বাংলাদেশকে
লিটন দাস দুবাইয়ের গ্যালারি করে দিয়েছিলেন উত্তাল। অবশ্য সেটা বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য, লিটনের চার-ছক্কার দ্যুতিতে ভারতীয় সমর্থকদের মনে ধরে গিয়েছিল ভয়। ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিট বুমরাহদের এলোমেলো করে দিয়ে লিটন সেদিন চিনিয়েছিলেন নিজের জাত।
তবে সেঞ্চুরি করা লিটন বাদে আর কেউই ফিফটিও করতে পারলেন না। ভারতকে সমীকরণে বাইরে ফেলে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেও ম্যাচ ঠিকই জমিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। শেষ বলের নাটকীয়তায় মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয় মাশরাফি মর্তুজার দলকে।
ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপের সর্বশেষ আসর হয়েছিল ২০১৮ সালে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেই আসরের ফাইনালে উঠে শিরোপার অনেক কাছেও চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে লিটনের ১১৭ বলে ১২১ রানের ঝলকে ২২২ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ম্যাচ জিততে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয় ভারতকে।
ম্যাচ জিততে শেষ ২ ওভারে ভারতের দরকার দাঁড়ায় কেবল ৯ রানের। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওই ওভার থেকে তিনি দেন মাত্র ৩ রান।
শেষ ওভারে ৬ রান ঠেকাতে মাহমুদউল্লাহর হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। মাহমুদউল্লাহ পারেননি, কেদার যাদব তুলে নেন জয়।
রান তাড়ায় এর আগে রোহিত শর্মার ৫৫ বলে ৪৮ রানের পর দীনেশ কার্তিক করেন ৩৭ রান, গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। রবীন্দ্র জাদেজা ৩৩ বলে ২৩ করে রাখেন অবদান।
বাংলাদেশের ইনিংসে লিটনের সেঞ্চুরি ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল সৌম্য সরকারের ৩৩। ম্যাচটা হারলেও নান্দনিক শটের পসরা সাজিয়ে সেঞ্চুরি করা লিটনই হন ম্যাচ সেরা।
তবে তাতে আক্ষেপের মাত্র কমেনি। তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে গিয়েও শিরোপা জিততে না পারার যন্ত্রণায় বিদ্ধ হয় বাংলাদেশ।
Comments