শ্রীলঙ্কাকে ১৮৩ পেরুনোর চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ

Afif Hossain
আফিফ হোসেন। ফাইল ছবি: সংগ্রহ

টি-টোয়েন্টিতে মেরে খেলার অভিপ্রায়ের অভাবে বেশ কিছুদিন ধরেই ধুঁকছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।  সহায়ক উইকেট পেয়ে সেই মেরে খেলার অভিপ্রায় দেখা গেল এবার। মেইক শিফট অপশন হিসেবে ওপেন করতে নেমে দারুণ শুরু আনলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে সেটা টেনে নিয়ে দলকে বড় পুঁজির দিকে নিলেন আফিফ হোসেন। শেষ দিকে আবারও ঝড় তুললেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। 

বৃহস্পতিবার দুবাইতে বাঁচা-মরার ম্যাচে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৪ উইকেটে ১৮৩ রান করেছে বাংলাদেশ। ২২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন আফিফ। ওপেন করতে নেমে মিরাজ করেন ২৬ বলে ৩৮। মাত্র ৯ বলেই ২৪ রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক।

গত কিছু দিন পাওয়ার প্লে নিয়ে ভুগছিল দল। লিটন দাস চোটে থাকায় ওপেনিংয়ে নিয়ে কোন সমাধানই আসছিল না। অবশেষে সাব্বির রহমান ও মিরাজকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই কাজে। সাব্বির এক চার মেরে আউট হয়ে গেলেও মিরাজ করেন বাজিমাত। পাওয়ার প্লের ৩৬ বলে বাংলাদেশ আনে ৫৫ রান। যাতে ২৪ বল খেলে মিরাজ একাই তুলেন ৩৮ রান। 

তৃতীয় ওভারে আসিতা ফার্নান্দোর বলে উইকেটের পেছনে ৫ রান করে ধরা দেন সাব্বির। কিন্তু সেই চাপ বুঝতে দেননি মিরাজ।  সাহস নিয়ে খেলতে থাকেন দারুণ সব শট। স্কুপ করে ছক্কায় মেরেছেন তিনি। পরে হাসারাঙ্গার বলে মারার চেষ্টাতেই বিদায় নেন তিনি। 

পাওয়ার প্লেতে যথেষ্ট রান এসে যাওয়ায় বাকিদের জন্য কাজটা ছিল সহজ। তিনে নেমে সাকিব থিতু হতে সময় নেন। শুরুতে বেশ ধুঁকছিলেন। দুবার ক্যাচ উঠিয়ে বেঁচে যান ফাঁকা জায়গায় পড়ায়। পরে স্কুপ শটে বের করেছেন একাধিক বাউন্ডারি, চার মেরেছেন কাভার ড্রাইভেও। থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২২ বলে তার বিদায় ২৪ রান করে। 

এর আগেই ফিরে যান শত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থাকা আরেক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। চারে নেমে আরেক দফা হতাশ করেন তিনি। চামিকা করুনারত্নের বাড়তি লাফানো বলে উইকেটের পেছনে ধরা দেন ৫ বলে ৪ রান করে। 

৪ উইকেট পড়লেও ১১ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ছিল ৮৮ রান। সেই জায়গা থেকে খেলার মোমেন্টাম বদলে দেওয়া ইনিংস খেলেন আফিফ। মাহমুদউল্লাহ এক পাশে থিতু হতে সময় নিলে সেই চাপ বুঝতে দেননি তিনি। স্কুপ, পুল, ফ্লিকে খেলতে থাকেন একের পর এক শট। লঙ্কান সেরা স্পিনার হাসারাঙ্গাকে থিতু হতে দেননি, ছক্কায় উড়ান অনায়াসে। ঝড় বইয়ে আফিফ আউট হন ১৭তম ওভারে। মাধুশঙ্কার বলে উড়াতে কাও কর্নারে হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ২২ বলে আফিফ করে যান ৩৯ রান।

মাহমুদউল্লাহরও খানিক পর ফিরে যান। হাসারাঙ্গার বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে থামে তার ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস। ১৭তম ওভারে ক্রিজে এসে বাকি কাজ সারেন মোসাদ্দেক। আগের ম্যাচের ছন্দ টেনে এই অলরাউন্ডার ৪ বাউন্ডারিতে ৯ বলে করে ফেলেন ২৪ রান। তার ঝড়েই ১৮০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। 

উইকেট ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো হলেও দুবাইরের মাঠে এই রান তাড়া খুব একটা সহজ হওয়ার কথা না। 
 

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

11h ago