আফগানিস্তানের রানের চাকা বেঁধে রেখেছে বাংলাদেশ
১২৮ রানের সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় মন্থর উইকেটে সুবিধা করতে পারছে না আফগানিস্তান। দারুণ বোলিংয়ে তাদের রানের চাকা বেঁধে রেখেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শুরুতে সাফল্য উপহার দেওয়ার পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও পেলেন উইকেটের স্বাদ।
মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে ব্যাট করছে আফগানিস্তান। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৮ রান। পরের ১০ ওভারে তাদের চাই আরও ৮০ রান। ফলে ম্যাচে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত। ক্রিজে আছেন ইব্রাহিম জাদরান ১১ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি ২ রানে।
পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে কেবল ২৯ রান তুলতে পারে আফগানরা। সেসময় সাকিবের পাশাপাশি আঁটসাঁট বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মেহেদী। এরপর তাসকিন আহমেদ আর মোসাদ্দেকও নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন বল হাতে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিবের বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। তখন ৬ রানে ছিলেন তিনি। তবে বড় মূল্য দিতে হয়নি টাইগারদের। বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে সাকিবের বলেই স্টাম্পড হন গুরবাজ। ১৮ বলে তার রান ১১।
আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই অনেক সময় ক্রিজে থাকলেও আক্রমণাত্মক হতে পারেননি। মোসাদ্দেকের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিলেও বদল আসেনি সিদ্ধান্তে। ২৬ বলে ২৩ রান আসে জাজাইয়ের ব্যাট থেকে। এতে ভাঙে ৩১ বলে ৩০ রানের জুটি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। কিছুটা মন্থর উইকেটে বল হাতে ভেলকি দেখান আফগান স্পিনাররা। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান ৩ উইকেট নেন ১৬ রানে। সমানসংখ্যক উইকেট পেতে তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খানের খরচা ২২ রান।
প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট খুইয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৮ রান জমা করতে পারে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী জুটি কার্যকর হয়নি। দুই অভিজ্ঞ সাকিব আর মুশফিকুর রহিমও টিকতে পারেননি। তারা চারজনই ফেরেন এক অঙ্কের রানে। আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে।
২২তম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মোসাদ্দেক খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। সাত নম্বরে ক্রিজে গিয়ে ৩১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কা। অন্য ব্যাটাররা যখন খাবি খাচ্ছিলেন, তখন মোসাদ্দেক করেন টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং। ফলে শেষ ৫ ওভারে আসে ৪০ রান। তার কল্যাণে বাংলাদেশের পুঁজি নেয় ভদ্রস্থ রূপ।
Comments