দারুণ প্রভাব রাখতে পারবেন, বিশ্বাস বিজয়ের

Anamul Haque Bijoy

চোটের কারণে দলের সেরা ওপেনার লিটন দাস নেই, বাকিদের অনেকেই ছন্দহীনতায়। টি-টোয়েন্টির ভাষা খুঁজতে হয়রান বাংলাদেশ দল এই এশিয়া কাপ নিয়ে খুব একটা জোর গলায় কিছু বলতে পারছিল না। তবে দুবাইতে দুদিনের অনুশীলনের পর দারুণ কিছুর আভাস দেখছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। নতুন টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরামের সঙ্গে সভা করে নাকি মাথা পরিষ্কার হয়ে গেছে তাদের।

টুর্নামেন্টের দিন সাতেক আগে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় শ্রীরামকে। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে সরিয়ে দেওয়া হয় টি-টোয়েন্টি থেকে। শ্রীরামের অধীনেই এবার এশিয়া কাপ খেলবে বাংলাদেশ।

দুবাইতে দুই দিনের অনুশীলন শেষে দলের হালচাল ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন ওপেনার বিজয়। তার মতে এবার এশিয়া কাপে বাংলাদেশ রাখবে দারুণ প্রভাব,  'শ্রীরাম আসার পর আমাদের দারুণ মিটিং হয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং , ফিল্ডিং সব বিভাগেই।  আমার মনে হয় আমরা পরিষ্কার মানসিকতায় আছি। প্রতিটা খেলোয়াড় জানে তাদের কাজটা কী। আমরা মনে করছি দারুণ এক প্রভাব ফেলতে পারব।'

লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফেরা বিজয় তার প্রত্যাবর্তনে এই পর্যন্ত খেলেছেন ৬ টি-টোয়েন্টি। তাতে তার পারফরম্যান্স হতাশাজনক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেছিলেন  ১০ বলে ১৬, ৪ বলে ৩ ও ১১ বলে ১০। দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২৬, ১৫ বলে ১৬ ও ১৩ বলে ১৪।

এর আগে এশিয়া কাপ খেলা হলেও ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের আসরে ছিলেন না তিনি। প্রথমের রোমাঞ্চে ভাসা বিজয়ের পাওয়ার হিটিং থেকেও আস্থা পরিকল্পনা করে খেলায়,  'এটা আমার প্রথম টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। আমি আসার আগে খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। এখানে সাকিব ভাই থেকে শুরু করে সবাই খুব আন্তরিক। দুদিন অনুশীলন করে মনে হচ্ছে আমরা ভাল প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী মনযোগী হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।'

'আমি দশ বছর বিপিএল খেলেছি। আমার মনে হয় আমরা যেরকম মেধাবী ও পরিশ্রমী খেলোয়াড় এখানে পরিকল্পনা জরুরি পাওয়ার হিটিংয়ের থেকে। কেউই বলতে পারে না এখানে কেউ ছয় মারতে পারে না, বা চার মারতে পারে না। যারা জাতীয় দলে আসে তাদের শতভাগ কোয়ালিটি নিয়েই আসে। আমার মনে হয় সবারই কোয়ালিটি আছে পাওয়ার হিটিং করার।'

'এটা আসলে পরিকল্পনার বিষয় যে কোন বোলারকে পিক করব, চার-ছয় মারব, কোন বোলারকে মারব না, সিঙ্গেল নিব। কোন সময় মারা উচিত, কোন সময় মারা উচিত। উপর থেকে যদি দেখেন এক থেকে আট সবাই মারতে পারে। তাদের সময় দেওয়া উচিত ১০ বল, ৫ বল।'

৩০ অগাস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বিজয়ের খেলা মোটামুটি নিশ্চিত। সেই ম্যাচে কীভাবে খেলবেন তার একটা আঁচ মিলল কথায়। বলে বলে মারা নয়, সুযোগের অপেক্ষায় ব্যাট চালাবেন তিনি,  'ছয় মারতে ভাল লাগে। প্রয়োগ কখন করব, এটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Chinmoy followers clash with cops in Ctg; lawyer killed

Bangladesh Sammilita Sanatani Jagaran Jote denies involvement

1h ago