টি-টোয়েন্টিতে বাচ্চাদের মতো পথ চলা শুরু করতে চান সাকিব
প্রায় দেড় দশক ধরে টি-টোয়েন্টি খেললেও এই সংস্করণের দর্শন এখনও যেন বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ দল! একের পর এক বাজে ফল সঙ্গী হচ্ছে তাদের। এই দুরবস্থা কাটাতে নতুন মানসিকতা ও চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও কথা বললেন একই সুরে।
ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বরাবরই বিবর্ণ। গত বছর ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাজেহাল হয় তারা। সাম্প্রতিক সময়েও টানা ব্যর্থতার তিক্ত স্বাদ নিতে হচ্ছে তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর জিম্বাবুয়ে সফরে সিরিজ হেরেছে টাইগাররা।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আরেকটি বিশ্বকাপ থাকায় নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। ইতিবাচক ফলের খোঁজে ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শ্রীধরন শ্রীরামকে। তিনি অবশ্য কাজ শুরু করবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসন্ন এশিয়া কাপ থেকে।
শনিবার রাজধানী ঢাকায় একটি পণ্য দূতিয়ালির কাজে অংশ নেওয়ার পর গণমাধ্যমের কাছে সাকিব জানিয়েছেন এশিয়া কাপ থেকে নতুন শুরুর প্রত্যাশা, 'টি-টোয়েন্টি এমন একটা সংস্করণ, ২০০৬ সালে মনে হয় আমরা প্রথম খেলেছি। একটা এশিয়া কাপের ফাইনাল ছাড়া আমাদের আর কোনো অর্জন নেই। তো সেই জায়গা থেকে তো এই সংস্করণে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের নতুন করে শুরু করা ছাড়া উপায় নেই। একটা বাচ্চা যখন পথ চলতে শুরু করে, তখন ধাপগুলো অনেক কঠিন থাকে। আস্তে আস্তে জিনিসগুলো সহজ হতে থাকে। হয়তো এখান (এশিয়া কাপ) থেকেই ধাপে ধাপে চলতে শুরু করব এবং একটা সময় দৌড়াতে শুরু করব।'
ভারতীয় শ্রীরামের অস্ট্রেলিয়ায় কাজের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের উপকারে আসবে বলে মনে করছেন সাকিব। তবে এশিয়া কাপ নিয়ে সংশয় শোনা গেছে তার কণ্ঠে, 'আমার মনে হয় না খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করার আছে এখানে। তিনি অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ৫-৬ বছর ছিলেন। আমাদের বিশ্বকাপটাও অস্ট্রেলিয়াতে। তার অভিজ্ঞতাটা আমাদের কাজে আসবে। এই টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে কতটা আসবে তা বলাটা মুশকিল, স্বল্প সময়। এখানে আমাদের সবারই একটা দায়িত্ব আছে যার যার জায়গা থেকে। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ, বিসিবি, মানুষ, আপনারা সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তাহলে আমার মনে হয়, একটা পথযাত্রা শুরু হবে।'
তৃতীয় দফায় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাকিব, 'দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা তো সবসময়ই একটা গর্বের বিষয়। আমি খুবই আনন্দিত, রোমাঞ্চিত ও নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে মনে করি প্রস্তুত।'
Comments