লিটনকে আউট করে দর্শকদের 'চুপ' হতে বলেন সিরাজ

দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে লিটন দাসের স্টাম্প গেল উড়ে। উল্লসিত বোলার মোহাম্মদ সিরাজ মুখের সামনে আঙুল তুলে অদ্ভুতভাবেই উদযাপন করলেন। মনে হচ্ছিল লিটন চুপচাপ থাকার নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। তবে লিটনকে নয়, আসলে দর্শকদের উদ্দেশ্যে এমন উদযাপন করেছেন এ পেসার। 

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৯৯ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। লিটনের ব্যাটে চড়েই ভারতকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে ভারতীয় দল।

ফলে প্রথম দুই দিন ব্যাকফুটে থাকলেও তৃতীয় দিনে এসে ঢাকা টেস্ট জমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। মাঠে উত্তেজনাও ছিল ঠাসা। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ সাজঘরে ফেরাতে পারলেও ভারতের গলার কাঁটা হয়ে আটকে ছিলেন লিটন। সোহান ও তাসকিনকে নিয়ে গড়া দুটি জুটিতে বাংলাদেশকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। আরও কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো ভারতকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দিতে পারতেন এ ব্যাটার।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলেই ব্যাটিং করেন তিনি। ৯৮ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ইনিংসটা হতে পারতো আরও লম্বা। কিন্তু সিরাজের অতিমানবীয় এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান তিনি। গুড লেংথে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিটি স্কিড করে ভেঙে দেয় লিটনের স্টাম্প।

স্বাভাবিকভাবেই তার উইকেট পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত সিরাজ। তবে উদযাপনটা দর্শকদের উদ্দেশ্য করেই করেছেন বলে জানান এ পেসার, 'হ্যাঁ এটা করা হয়েছে ওই দর্শক চিৎকার করছিল। আমি যখন ওই দর্শকদের কাছাকাছি ছিলাম তখন তারা আমাকে কিছু বলেছিল। সেজন্যই এমন করেছি।'

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টেও লিটনকে বোল্ড করেছিলেন সিরাজ। ওয়ানডে সিরিজেও দুইবার লিটন তুলে নিয়েছিলেন তিনি। যার একটি ছিল বোল্ড। তাতে মনে হচ্ছে যেন দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে দারুণ একটি দ্বৈরথ জমে উঠেছে।

তবে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন সিরাজ, 'না না। এটা নিয়ে আমাদের এতো চিন্তা করা উচিত নয়। ফাস্ট বোলাররা একটু খোঁচাখুঁচি করতে চাইবেন, ব্যাটারদের ফোকাস ভাঙতে চাইবেন। এ ধরণের সামান্য জিনিস সেখানে হবে। তবে এটা কোনো দ্বৈরথ নয়। শুধুই মজা।'

Comments

The Daily Star  | English

Consensus key to take Bangladesh forward: Yunus

"We are now working to bring our beloved Bangladesh back onto the path of equality, human dignity, and justice," he said

2h ago