তাসকিনকে নিয়ে লিটনের লড়াই
প্রথম সেশনে নড়বড়ে, দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে পড়েছিল চার উইকেট। দ্বিতীয় সেশনেও লড়াইয়ে ফেরার দাবি জোরালো করা গেল না। পড়ল আরও তিন উইকেট। ফিফটির পর থামলেন জাকির হাসান। লিটন দাস ফিফটি করে টিকে থাকলেও আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষের পথে আছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ২৭ ওভার খেলে বাংলাদেশ তুলেছে ১২৪ রান। ৭ উইকেটে ১৯৫ রান করে চা-বিরতিতে যাওয়া স্বাগতিকরা লিড নিয়েছে ১০৮ রানের। ৭৮ বলে ৫ চারে ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন লিটন। ১৮ বলে ১৫ করে তার সঙ্গী তাসকিন আহমেদ।
প্রথম সেশনে বেশ আস্থার সঙ্গে খেলছিলেন তরুণ ওপেনার জাকির। উইকেটের মূল্য বুঝতে পারছিলেন তিনি। তবে লাঞ্চ থেকে ফিরে তাকেও আক্রান্ত করে অস্থিরতা। পেসার জয়দেব উনাদকাটের অফ স্টাম্পের বাইরে একাধিক বলে তাড়া করে পরাস্ত হচ্ছিলেন। ঝুঁকি নিতে দেখা যাচ্ছিল ঘনঘন।
আগের টেস্টে অভিষেকে সেঞ্চুরিতে নজর কাড়া বাঁহাতি সামলে নিয়ে এই ম্যাচেও পান ফিফটির দেখা। তবে এরপর নিজেকে আগাতে পারেননি। আরেক পেসার উমেশ যাদবের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে দেন সহজ ক্যাচ। ১৩৫ বলের লড়াই থামান ৫১ রান করে।
সাতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ অবদান রাখতে পারেননি। আকসার প্যাটেলের বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউতে বিদায় তার। ৫ বল খেলে মিরাজ রানের খাতাও খুলতে পারেননি।
লিটন এক পান্তে চালিয়ে খেলছিলেন। আটে নেমে তার সঙ্গে যোগ গিয়ে একই ধরণ নেন কিপার ব্যাটার সোহান। অনেকটা টি-টোয়েন্টির মেজাজে রান বাড়াতে থাকেন তারা। ২ চার, ১ ছক্কা মারলেও সোহানকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে দেখা যাচ্ছিল না। ২৭ রানে একবার পান জীবন। তার দৌড়ও বেশিদূর আগায়নি। আকসারের বলে লাইন মিস করে পরাস্ত হওয়ার পর দৃষ্টিকটুভাবে বেরিয়ে যান ক্রিজ থেকে। সহজ স্টাম্পিংয়ে থামে ২৯ বলে ৩১ রানের ইনিংস। ভাঙে ৪৮ বলে ৪৬ রানের জুটি।
১৬ ও ৪৯ রানে দুই দফায় স্লিপে বিরাট কোহলির হাতে জীবন পেয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন লিটন। দ্রুত রান বাড়ানোর প্রয়াস দেখা যায় তার ব্যাটে। নয়ে নামা তাসকিন তার সঙ্গে মিলে যোগ করতে থাকেন রান। ৮ম উইকেট জুটিতে এই দুজন এরমধ্যে যোগ করেন ৩৯ বলে মূল্যবান ৩৬ রান।
Comments