টানা উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছিল। ভারতকে অন্তত দুইশো ছাড়ানো লক্ষ্য দিলে কঠিন উইকেটে ম্যাচ জেতার আশা করা যেত। কিন্তু সেই পথে বিশাল ধাক্কা লাগল তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই। চার উইকেট হারানোর সেশনে বাংলাদেশের হয়ে লড়াই চালাচ্ছেন কেবল জাকির হাসান।
তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭১। ৯৬ বলে ৫ চারে ৩৭ করে অপরাজিত আছেন তরুণ জাকির, কোন রান না করে তার সঙ্গী লিটন দাস। ভারতের থেকে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে ১৬ রানে। সফরকারীদের বড় লক্ষ্য দিতে হলে শেষ দিকের ব্যাটারদের করতে হবে ভিন্ন কিছু।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে তৃতীয় দিনের সকালে নেমেই কেঁপে উঠে বাংলাদেশের ব্যাটিং। বিনা উইকেটে ৭ রানে থাকা বাংলাদেশকে সকালের শুরুতেই ফনা দিতে থাকেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। নাজমুল হোসেন শান্ত তার বিপক্ষে ধুঁকছিলেন। রিভিউ নিয়ে তাকে একবার ফেরাতে ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও ফাঁদে ফেরলেন অশ্বিন।
অশ্বিনের বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে পায়ে লাগান শান্ত। মাঠের আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন শান্ত, লাভ হয়নি। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শান্ত থামেন ৩১ বলে ৫ রান করে।
অশ্বিনের সঙ্গে আরেক পাশে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। তার তৈরি করা ক্রমাগত চাপ কাবু করে মুমিনুল হককে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান করা বাঁহাতি এবার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করেছিলেন, আউটসাইড এজড হয়ে ক্যাচ দেন কিপারের গ্লাভসে। মুমিনুলও বিদায় নেন ৫ রান করে। ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবারও নেমেছিলেন চারে। ব্যাটিং পজিশনে ফের নিজেকে উপরে তোলে আনা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। এবার কিছুটা টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়েছিলেন, পারেননি। এবার তার হন্তারক জয়দেব উনাদকাট। বাঁহাতি পেসারের বলটা পুশ করতে গিয়েছিলেন। সহজ ক্যাচ যায় কাভারে। ৩৬ বলে ১৩ করে বিদায় নেন সাকিব।
সঙ্গীদের একে একে বিদায়েও হাল ধরে রাখেন জাকির। ক্রিজে আঁকড়ে পড়ে থাকার নিবেদন দেখান চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায়। বাঁহাতি ওপেনার সুযোগ পেলে বাউন্ডারি আদায় করতেও দ্বিধা করেননি।
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম পুরো সিরিজের ব্যর্থতার সমাপ্তি টানেন আকসার প্যাটেলের বলে। লাঞ্চ বিরতির খানিক আগে আকসারের বল পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে হন এলবিডব্ললিউ। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি তার। মুশফিক ফেরেন ১৯ বলে ৯ রান করে। দুই টেস্ট মিলিয়ে মুশফিক করতে পারলেন স্রেফ ৮৬ রান।
Comments