‘এরকম উইকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হতে পারে না’

ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মনে করেন, এমন উইকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হতে পারে না। আইসিসির কিছু একটা করা উচিত।
Harsha Bhogle

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি গ্রাউন্ডের উইকেট নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। মাত্র পাঁচ মাসে তৈরি মাঠে অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা ড্রপ-ইন উইকেট অনেকের মতেই অপ্রস্তুত। এখানে হওয়া দুই ম্যাচেই দেখা গেছে ব্যাটারদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি। এই মাঠেই আগামী রোববার মুখোমুখি হওয়ার কথা ভারত-পাকিস্তানের। ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মনে করেন, এমন উইকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হতে পারে না। আইসিসির কিছু একটা করা উচিত।

নাসাউ কাউন্টির মাঠে দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭৭ ও আয়ারল্যান্ডকে ৯৭ রানে গুটিয়ে যেতে দেখা গেছে। রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকেও কিছুটা ভুগতে হয়। দুই ম্যাচেই উইকেটের আচরণ ছিলো অস্বাভাবিক।

মুভমেন্টের পাশাপাশি গুড লেন্থ থেকে বল লাগিয়েছে আচমকা। কিছু বল আবার হয়েছে নিচু। ব্যাটারদের জন্য তৈরি হয় বিপদজনক পরিস্থিতি।

ক্রিকবাজের ইংরেজি শোর আলোচনায় এই প্রসঙ্গে ভোগলে দেন তার মত। এই ধরণের উইকেটে বড় ম্যাচ দেওয়া উচিত না বলে মনে করেন তিনি, 'আমার মনে হয় ভুল বোঝাবুঝির ভয় ছাড়াই বলতে পারি, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এরকম উইকেটে হতে পারে না। আমি খুবই আশা করছি যে মাঝের উইকেটটা ভালো হবে। আপনি দেখেছেন রোহিত বাহুতে আঘাত পেয়েছে, রিশভ দুই তিনবার আঘাত পেয়েছে। এটা একটা বিশাল টুর্নামেন্ট, তাদের (আইসিসি) কিছু একটা করা উচিত।'

ক্রিকবাজের হিন্দি শোর আলোচনায় সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্রর শেবাগ তুলোধুনো করেন আইসিসির। তিনি প্রশ্ন তুলেন বিনোদন দেওয়ার বদলে বিনোদন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে,  'নিউ ইয়র্কে আপনি খেলা দিয়েছেন কেন? বিনোদনের জন্য তাই তো? আমেরিকানরা এসে বিনোদিত হবে ইত্যাদি। কিন্তু কোন মজাই তো হচ্ছে না। অ্যাডিলেডে বানানো হলে অ্যাডিলেডের মতন উইকেট হতে হতো। ৫০ ওভারের খেলায় যেখানে তিনশোর বেশি হবে। টি-টোয়েন্টিতে অন্তত দেড়শো হবে। আপনি বিনোদন কেড়ে নিয়ে।'

'এই উইকেটের মান কে নির্ধারণ করেছে? আম্পায়ার? ম্যাচ রেফারি? ম্যাচ রেফারি তো আইসিসিরই। এরকম উইকেট ভারতে হলে তো কড়া নিন্দে হতো। ১৫-১৬ ওভারে ৯০ রানে অলআউট হয়ে যাচ্ছে। টি-টোয়েন্টিটা হচ্ছে বিনোদনের খেলা। তো আপনি এখানে বিনোদনই ছিনিয়ে নিচ্ছেন।'

উইকেটের পাশাপাশি নিউইয়র্কের আউটফিল্ড নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভারি আউটফিল্ড ফিল্ডারদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে এখানে ঝাঁপিয়ে চোট পড়ার শঙ্কা করছেন কেউ কেউ।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

3h ago