মুসিয়ালার চোটে ফুঁসছেন বায়ার্ন কোচ কোম্পানি

মারাত্মক চোটে পড়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের অন্যতম তারকা খেলোয়াড় জামাল মুসিয়ালা। প্যারিস স্যাঁ জারমেইর (পিএসজি) বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধেই এই চোট পান তিনি। এই ঘটনায় বিরতিতে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পিএসজির বক্সের ভেতরে ডিফেন্ডার উইলিয়াম পাচোর সঙ্গে বলের জন্য লড়ছিলেন ২২ বছর বয়সী জার্মান মিডফিল্ডার। ঠিক তখনই সামনে থেকে আসা পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা তার বাঁ পায়ের গোড়ালির ওপর পড়ে যান। এতেই গোড়ালি ভয়াবহ মচকানো যায়। পাশে পড়ে কাতরাতে থাকেন মুসিয়ালা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি বলেন, 'আমি বিরতিতে খুব কম সময়ই এতটা রাগান্বিত হই। তবে এটা আমার খেলোয়াড়দের প্রতি নয়। জীবনে অনেক কিছুই আছে, যা এই খেলাধুলার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ছেলেরা তাদের জীবনই উৎসর্গ করেছে এই খেলায়।'
'জামালের মতো একজন খেলোয়াড়, যে খেলাটাকে গভীরভাবে ভালোবাসে এবং যিনি ইতিমধ্যে একবার চোট কাটিয়ে ফিরেছেন, তার সঙ্গে এমন কিছু ঘটলে আপনি নিজেকে অসহায় মনে করবেন… এখন যখন আমি আপনাদের সামনে বসে আছি, এখনও আমার রক্ত টগবগ করে ফুটছে। কারণ এটা শুধু ফলাফলের ব্যাপার নয়। আমি জানি, এটা ফুটবল। কিন্তু এমন একজনের সঙ্গে এটা ঘটেছে, যিনি শুধু খেলাটিকে ভালোবাসেন না, বরং আমাদের দলের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,' যোগ করেন এই কোচ।
চোটের তীব্রতা দেখে মাঠেই শুয়ে পড়েন দোন্নারুম্মা, হাত দিয়ে মাথা ঢেকে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গেই বায়ার্নের মেডিকেল টিম ছুটে আসে মাঠে। দুই দলের খেলোয়াড়েরা মুসিয়ালার চারপাশে বৃত্ত গড়ে দাঁড়িয়ে পড়েন, পরে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ানো হয়।
জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড জানিয়েছে, এই চোটের কারণে পাঁচ মাস পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে মুসিয়ালাকে।
বায়ার্ন অধিনায়ক মানুয়েল নয়ারও ফুঁসেছেন মুসিয়ালার চোটে। ম্যাচ শেষে বলেন, 'দোন্নারুম্মার সেই ঝাঁপটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ম্যাচের বিরতিতে আমি ওর কাছে গিয়ে বলি, "তুমি কি চাইবে না ওর (মুসিয়ালার) কাছে গিয়ে একটু শুভকামনা জানাতে? সে হয়তো এখনই হাসপাতালে চলে যাবে। গুরুতর চোট পেয়েছে। অন্তত সম্মান জানিয়ে গিয়ে একটু দুঃখ প্রকাশ করো।"'
'পরে ও মুসিয়ালার কাছে গিয়েছিল… এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের মধ্যে ফেয়ারনেস থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি হলে শুরুতেই গিয়ে বলতাম,' বলেন নয়ার।
ম্যাচ শেষে দোন্নারুম্মা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, 'আমার সব প্রার্থনা ও শুভকামনা তোমার জন্য, জামাল।'
Comments