মাঠের বাইরে থেকেও কঠিন শাস্তির শঙ্কায় কারভাহাল

আর্সেনালের কাছে হেরে রিয়াল মাদ্রিদের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার ম্যাচে খেলেননি দানি কারভাহাল। তবে মাঠের বাইরে থেকেও বিতর্কে জড়িয়েছেন লস ব্লাঙ্কোদের অভিজ্ঞ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। এই ঘটনায় তার কঠিন শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে স্কোয়াডে ছিলেন না কারভাহাল। হাঁটুর চোটের কারণে গত অক্টোবর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন তিনি। তবে প্রথমার্ধ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন টানেলে ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি আর্সেনালের বুকায়ো সাকার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কথাবার্তার মধ্যে কারভাহাল প্রথমে সাকার মাথায় ও বুকে হালকা চাপড় দেন। এরপর তিনি প্রতিপক্ষের ইংলিশ উইঙ্গারের হাত টেনে ধরলে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ঘটে। সেসময় কারভাহালকে সাকার ঘাড়ে হাত রাখতেও দেখা যায়। পরে অন্যরা এসে তাদেরকে আলাদা করে ফেলেন।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার জন্য কারভাহাল সর্বোচ্চ চার ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন। কারণ, ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, স্কোয়াডে না থাকায় মাঠের বাইরের টেকনিক্যাল এরিয়ায় তার থাকার অনুমতি ছিল না। এর আগে ২০১৬ সালে একই কারণে রিয়ালের সাবেক মিডফিল্ডার জাবি আলোন্সো এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই মৌসুমে রিয়ালের খেলোয়াড়দের এমন আচরণ এটাই প্রথম নয়। এর আগে শহর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর উদযাপনে মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে, আন্টোনিও রুডিগার ও দানি সেবায়োস। প্রতিপক্ষের সমর্থকদের সামনে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তারা।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে, জার্মান ডিফেন্ডার রুডিগার ও স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সেবায়োসকে জরিমানা করা হয়। তাছাড়া, এমবাপে ও রুডিগারের জোটে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা, যা এক বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
আর্সেনালের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে এই প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। প্রথম লেগে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে পরাস্ত হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
Comments