বিদ্রোহী নারী ফুটবলারদের নিয়ে আগ্রহ নেই কোচের

Peter Butler

কোচ পিটার বাটলারের অধীনে খেলতে না চেয়ে বিদ্রোহ করে গত সপ্তাহে গণ অবসরের ঘোষণা দেন সাবিনা খাতুনরা। বিদ্রোহ করা জাতীয় দলের সিনিয়র তারকাদের নিয়ে কোন আগ্রহ নেই এই কোচের। তিনি জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অনুশীলন।

বাটলার গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ জন ফুটবলার নিয়ে অনুশীলন করে,  যাদের বেশিরভাগই জুনিয়র। অনুশীলনে ছিলেন আফিদা খান্দকার, শাহেদা আক্তার রিপা, কোহাটি কিস্কু, মুঙ্কি খাতুন, স্বপ্না রানী, সুরমা আক্তার, আইরিন পারভিন, আকালিমা খাতুন, সুরভী আক্তার প্রীতি, জয়নব বেগম, অর্পিতা বিশ্বাস, হালিমা খাতুন এবং ইয়ারজান বেগম। এই খেলোয়াড়রা বাফুফে হাউসে জিম সেশনেও অংশ নেন। যেখানে ছিলেন সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু এবং মাহমুদা আক্তার।

গত সপ্তাহে দুই বছরের জন্য বাফুফের সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে বাংলাদেশে আসেন বাটলার। সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন বিদ্রোহ করা ফুটবলারদের নিয়ে তার আগ্রহ নেই, 'এই বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। আমার (বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের সম্পর্কে) কোনো আগ্রহও নেই। আমি আমার কাজ পেশাদারিত্বের সঙ্গে করছি। যারা আজ উপস্থিত ছিল তাদের নিয়ে আমি প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাব।'

সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মনিকা চাকমাদের মতন শীর্ষ ১৮ ফুটবলারের ঘাটতি মেটাতে বাফুফে আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিকেএসপি থেকে অনূর্ধ্ব-২০ খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য ডেকেছে। সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিরোধী জড়ানো বাটলার এবার জুনিয়রদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চান।

তিনি বলেন, 'অনূর্ধ্ব-২০ খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছে। আমি আশাবাদী যে তারা ভবিষ্যতে দেশের সেবা করবে।'

এদিকে বাফুফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সিনিয়র খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছিল।

বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সাংবাদিকদের বলেন তারা সিনিয়র খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে যোগ দিতে রাজি করানোর জন্য কাজ করছেন, 'আমরা মেয়েদের ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। আমরা অবশ্যই চাই মেয়েরা ক্যাম্পে থাকুক, প্রশিক্ষণ নিক এবং খেলুক। এটাই আমরা চাই। এর বাইরে, আমরা কিছুই চাই না। আমরা ক্রমাগত এটির ওপর কাজ করছি এবং তাদের রাজি করানোর চেষ্টা করছি।'

'তারা প্রাপ্তবয়স্ক, তাই না? তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারি না। আমরা তাদের এখানে শিশু হিসেবে এনেছিলাম। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমি তাদের বলেছি, এটা করো না। এটা কারও জন্য ভালো নয়; দেশের জন্য ভালো নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

MATS students stage sit-in at Shahbagh

Hundreds of students marched to Shahbagh around 11:00am and took position on the road

16m ago