মধুর সমস্যায় বার্সেলোনা কোচ
আধুনিক ফুটবলে সবকিছুই নির্ভর করে সূক্ষ্ম বিষয়ের উপর। আর এই নীতিতেই অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন বয়েজিচেক স্টেজনি। অ্যাথলেতিক বিলবাওর বিপক্ষে হ্যান্সি ফ্লিকের পরিকল্পনা ছিল ইনাকি পেনাকে খেলানো। কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে সেই সুযোগ হারান এই গোলরক্ষক। আর সুযোগে দরজা খুলে যায় স্টেজনির। দুর্দান্ত পারফর্ম করে ফ্লিককে ফেলে দিয়েছেন মধুর সমস্যায়।
বুধবার রাতে কিংস আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে অ্যাথলতিক বিলবাওকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারায় বার্সেলোনা। কাতালানদের ফাইনালে তোলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন গোলরক্ষক স্টেজনি। অন্তত দুটি নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি ৫টি সেভ করেছেন এই পোলিশ গোলরক্ষক।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কোপ নেটওয়ার্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রি-ম্যাচ আলোচনায় ভুল তথ্য দেন এবং দেরি করেও পৌঁছান। এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থানে গিয়ে প্রথম একাদশে পরিবর্তন আনেন ফ্লিক। স্টেজনিকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন। এটা তার দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল বার্সেলোনার জার্সিতে, যেখানে নতুন বছরের শুরুতে কোপা দেল রের ম্যাচে বারবাস্ত্রোতে অভিষেক হয়েছিল তার।
কাপ ম্যাচে অবশ্য খুব বেশি পরীক্ষা হয়নি স্টেজনির। কিন্তু 'সিংহদের' (অ্যাথলেটিক) বিপক্ষে একেবারে ভিন্ন গল্প। শুরু থেকেই একটি বিষয় নিয়ে অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন স্টেজনি—বক্সের বাইরে বের হয়ে বাস্ক দলের লং পাসগুলো ঠেকানো। স্টেগেনের বিকল্প বিবেচনায় এই দিকেই এগিয়ে ছিলেন পেনা। কোচ মনে করেছিলেন, তৃতীয় সেন্টার-ব্যাক হিসেবে খেলতে বেশ গতিশীল ও তৎপর পেনা। কিন্তু আগের দিন নিজেকে জানান দিলেন স্টেজনিও।
তবে একটি পরিস্থিতিতে স্টেজনির ভুল প্রায় কাজে লাগিয়েছিলেন ইনাকি উইলিয়ামস, তবে দ্রুত প্রতিক্রিয়াই দেখিয়ে তা সংশোধন করেন এই গোলরক্ষক। বিরতি ঠিক তো ছিলেন দুর্দান্ত। বেরেঙ্গুয়ের পাস বুঝে চমৎকারভাবে তা সেভ করেন। এরপর বক্স থেকে বের হয়ে দুর্দান্তভাবে বল ক্লিয়ার করেন তিনি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে, ইনাকির শট দারুণ এক ফ্রুটসাল স্টাইলে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
সবমিলিয়ে ১৮০ মিনিট খেলেও এখনও কোনো গোল হজম করেননি স্টেজনি। এখন দেখা যাক ফাইনালের জন্য কী সিদ্ধান্ত নেন ফ্লিক। হতে পারে পেনাই গোলপোস্ট সামলানোর জন্য প্রাধান্য পাবেন, তবে অসাধারণ পারফরম্যান্স কোচকে কঠিন চাপে ফেলেছেন স্টেজনি।
Comments