আমি সেই গ্রিলিশকে চাই যে ট্রেবল জিতেছিল: গার্দিওলা

শেষ কবে গোল করেছেন তা হয়তো নিজেও ঠিক মনে করতে পারবেন না জ্যাক গ্রিলিশ। মাঠের পারফরম্যান্সে একেবারেই বিবর্ণ। অথচ এই খেলোয়াড়কে কিনতে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। তবে ২০২৩-২৩ মৌসুমে সিটির ট্রেবল জয়ে দারুণ অবদান রেখেছিলেন তিনি। সেই সময়ের গ্রিলিশকে আবার ফিরে পেতে চান কোচ পেপ গার্দিওলা।

গ্রিলিশের মতো সময়টা ভালো যাচ্ছে না তার ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিরও। শেষ ১৪ ম্যাচে দলটি জিতেছে মাত্র ২টি ম্যাচে। দলের এমন অবস্থায় সেরা সময়ের গ্রিলিশকে খুব প্রয়োজন গার্দিওলার। অথচ ২৯ বছর বয়সী এই ইংলিশ তারকা নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। এই মৌসুমে সিটির ২০টি লিগ ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতে খেলেছেন, তবে শুরু করেছেন মাত্র ছয়টি ম্যাচে। ইতিহাদে রোববার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে সিটির ৪-১ গোলের জয়ের ম্যাচে খেলেছেন মাত্র ছয় মিনিট।

ট্রেবল জয়ী মৌসুমের পর থেকেই ফর্ম পড়তে থাকে গ্রিলিশের। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ক্লাবের হয়ে কোনো গোলই করতে পারেননি। সিটির হয়ে শেষ গোল করেন ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর, যে ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। তাই সব মিলিয়ে গ্রিলিশের চেয়ে চলতি মৌসুমে জিরোনা থেকে দলে টানা স্যাভিনিওর উপর আস্থা রাখছেন সিটি কোচ।

আস্থার প্রতিদানও দিচ্ছেন স্যাভিনিও। ওয়েস্টহ্যামের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয়ের ম্যাচে আর্লিং হালান্ডের দুটি গোলে করেছেন সহায়তা। এই ব্রাজিলিয়ানই গ্রিলিশের জন্য 'উদাহরণ' হতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিটি বস বলেছেন, 'স্যাভিনিও এখন ফর্মে আছে এবং অন্যান্য দিক থেকে জ্যাকের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে, এবং এ কারণেই আমি ওকে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে খেলিয়েছি।'

তবে গ্রিলিশকে লড়াইয়ে দেখতে চান এই স্প্যানিশ কোচ, 'আমি কি সেই জ্যাককে চাই যে ট্রেবল জিতেছিল? হ্যাঁ, আমি চাই, কিন্তু আমি নিজেকে নিয়ে সৎ থাকার চেষ্টা করি। তাদের লড়াই করতে হবে। আপনি বলতে পারেন এটা অন্যায়। ঠিক আছে, যদি আপনি এমনটা ভাবেন, তাহলে তাই মেনে নিন। কিন্তু আপনাকে আমাকে প্রমাণ করতে হবে—"ঠিক আছে, আমি স্যাভিনিওর সঙ্গে লড়াই করব এবং এই পজিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করব", প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহে, এবং প্রতি মাসে।'

তবে ছন্দ হারালেও গ্রিলিশের উপর এখনও বিশ্বাস রয়েছে এই কোচের, 'দুই সপ্তাহ আগে সে চোটে ছিল এবং তাকে তাল মেলাতে হবে এবং খেলতে হবে, তবে খেলোয়াড়দের অনুশীলনও প্রয়োজন। আমি জ্যাক বা এই দলের কোনো খেলোয়াড়ের মান নিয়ে কোনো সন্দেহ করি না। তারা এখানে আছে কারণ তারা যোগ্য। আমি তাকে এখানে আনতে অনেক লড়াই করেছি। আমি জানি সে পারবে, কারণ আমি তাকে দেখেছি। আমি তার সেই স্তরটি আবার চাই, প্রতিটি অনুশীলন সেশন এবং প্রতিটি ম্যাচে।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus raises concerns over US decision to freeze aid to key projects

Chief Adviser Professor Muhammad Yunus today raised concerns over the US decision to freeze aid to other key projects in Bangladesh, including the life-saving efforts of the icddr,b, one of the world's renowned health research institutes

31m ago