অবশেষে লা লিগার ১:১ নিয়মের আওতায় বার্সা

শেষ পর্যন্ত কিছুটা স্বস্তির খবর পেল বার্সেলোনা। অবশেষে লা লিগার ১:১ নিয়মের আওতায় এসেছে ক্লাবটি। ফলে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে বাঁধা নেই তাদের। নেই কোনো খেলোয়াড়ের চুক্তি নবায়নে বাঁধাও। যদিও নানা নিয়ম নীতির বেড়াজালে এখনো ঝুলে আছে দানি ওলমো এবং পাউ ভিক্তরের নিবন্ধন।

৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর পাঠানো নথিপত্রের পর্যালোচনা সম্পন্ন হওয়ার পর বার্সেলোনাকে ১:১ আর্থিক ফেয়ার প্লে বিধি মেনে চলার অনুমতি দিয়েছে লা লিগা। শুক্রবার মধ্যরাতে ক্লাবটিকে বিষয়টি জানায় লিগ কর্তৃপক্ষ। তবে লা লিগাকে ওলমো ও ভিক্তরের নিবন্ধনের বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা, যা ৩০ ডিসেম্বর অনুরোধ করা হয়েছিল।

বার্সা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা এবং তার ঘনিষ্ঠ দল শুক্রবার রাত ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত অফিসে কাজ করেছেন, যাতে লা লিগা এই দুই খেলোয়াড়ের নিবন্ধন অনুমোদন করে। তবে ক্লাব থেকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে লা লিগার সঙ্গে কোনো মৌখিক চুক্তি হয়নি। লা লিগা তাদের কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। এবং আরএফইএফও তাদের ব্যাখ্যা মেনে নেয়নি, যার মাধ্যমে তাদের সাধারণ বিধির ১৩০ নম্বর অনুচ্ছেদের সুবিধা নিতে পারত বার্সা।

এদিকে শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় একটি বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ২৮ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে বার্সেলোনা। ভবিষ্যৎ স্পটিফাই ক্যাম্প ন্যুর ভিআইপি আসন ব্যবহারের জন্য এই অর্থ প্রদান করছে তারা। ব্যাংক ট্রান্সফার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট নথিপত্র লা লিগার কাছে পাঠানো হয়, যা থেকে  ১:১ নিয়মের আওতায় আসতে পেরেছে কাতালান ক্লাবটি।

কিন্তু ১:১ নিয়মের আওতায় আসলেও এই নিয়মে দানি ওলমো এবং পাউ ভিক্তরকে নিবন্ধন করা সম্ভব নয়। একই মৌসুমে কোনো ফুটবলার অনিবন্ধিত হয়ে গেলে তাকে পুনরায় নিবন্ধন করার নিয়ম নেই লা লিগায়। আপাতত তাই আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে বার্সেলোনা। তবে অন্য খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রে কোনো বাঁধা নেই তাদের। 

তবে বার্সেলোনাকে এই বিপদে ফেলেছে লা লিগাই। নাইকির সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর হলে হলে বার্সা দানি ওলমোকে নিবন্ধন করতে পারবে এবং ১:১ নিয়মে ফিরে আসবে বলে জানিয়েছিলেন লা লিগার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের তেবাস। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ডিসেম্বরে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে লা লিগা। জানিয়ে দেয় নাইকির চুক্তি যথেষ্ট নয়। তাতেই বিপদে পড়ে যায় ক্লাবটি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus raises concerns over US decision to freeze aid to key projects

Chief Adviser Professor Muhammad Yunus today raised concerns over the US decision to freeze aid to other key projects in Bangladesh, including the life-saving efforts of the icddr,b, one of the world's renowned health research institutes

1h ago